বৃহস্পতিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৬

প্রবালের রাজ্যে


আবার সেই আয়ান আর আফনান। সেন্টমার্টিনে এসেই তাদের নতুন করে ঝগড়া শুরু হলো। এবারের বিষয় প্রবাল। একজনের কথা হলো এটা উদ্ভিদ। অন্যজন বললো, না, এটা প্রানী। ওদের এই বাহাসে নতুন করে যোগ দিলো তাসফিয়া। ও বলে আরে ধ্যুৎ! এটা প্রানী উদ্ভিদ হতে যাবে কেন! এটা তো জীবই না। এটা পাথর। এটা দিয়ে গহনা তৈরী করে। গত বছর আব্বু জন্মদিনে আমাকে একটা কোরাল সেট উপহার দিয়েছে। তাসফিয়ার কথা শুনে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি দিতে লাগলো আয়ান-আফনান। তাদের এই তীর্যক হাসিতে অভিমানী হয়ে ছোট্ট তাসফিয়া আসলো আমার রুমে। আমার কাছে অভিযোগ দিয়ে বললো, চাচ্চু এখনই ওদের বকা দিতে হবে। আমি তখন রাতে শোয়ার আয়োজন করছিলাম। কিন্তু নাছোড়বান্দা তাসফিয়ার কথায় এই রাতে রুম ছাড়তে হলো। আয়ান আফনানের রুমে গিয়ে দেখি ওরা এখন আর বাহাসের মুডে নাই। ওরা চলে গিয়েছে “হাত থাকতে মুখে কি?” অবস্থায়। ভয়ঙ্কর ঢিসুম ঢিসুম চলছে। ওদের থামিয়ে চলে যেতে চাইলাম। কিন্তু তিন নাছোড়বান্দা একসাথে বলা শুরু করলো, ওদের প্রবালের গল্প বলতে হবে। অগত্যা শুরু করলাম।

প্রবাল কি উদ্ভিদ, নাকি প্রাণী? এই বিতর্ক অত্যন্ত পুরাতন একটি বিতর্ক। আগের বহু বিজ্ঞানী এই নিয়ে নানা ধরণের মন্তব্য দিয়েছেন। এর প্রকৃতি দেখে এবং এর মধ্যে প্রানী ও উদ্ভিদ উভয়ের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান ছিল বিধায় বিজ্ঞানী এরিস্টটল প্রবালকে “জুয়োফাইটা” হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। এর মানে এরা একই সাথে উদ্ভিদ ও প্রাণী। সর্বপ্রথম ইরানী গবেষক আল বিরুনী এটিকে স্পঞ্জ ও প্রাণী হিসেবে ঘোষনা করেন। এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন এদের অনুভূতি শক্তি রয়েছে। স্পর্শ করলে এরা রেসপন্স করে। এ এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। আঠারো শতাব্দি পর্যন্ত সাধারণ মানুষ প্রবালকে উদ্ভিদ হিসেবেই জানতো। তবে উইলিয়াম হার্শেল মাইক্রোস্কোপের মাধ্যমে প্রবালের পলিপের কোষ ও কোষ ঝিল্লি পর্যবেক্ষন করে নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসেন প্রবাল উদ্ভিদ নয়, প্রাণী। এরপর বিজ্ঞানীরা নানান যন্ত্রপাতি দিয়ে এর রহস্য উন্মোচন করেন। এখন নিশ্চিত হয় এরা আসলে উদ্ভিদ নয় এরা প্রাণি। 

প্রবাল (Coral): 
নিডারিয়া পর্বের সমুদ্র তলদেশে বসবাসকারী অ্যানথোজোয়া শ্রেণীর প্রাণী। এদের কাছাকাছি প্রাণী হলো সাগর কুসুম। প্রবাল হলো অনেকগুলো ছোট ছোট অমেরুদণ্ডী কীটের সংঘবদ্ধ বসবাস। এই কীটদের পলিপ বলা হয়। এটি প্রস্থে কয়েক মিলিমিটার ও দৈর্ঘ্যে কয়েক সেন্টিমিটার হয়। এই ছোট ছোট কীটসমূহ তাদের ত্বকের চারপাশে একধরনের অস্থিময় বস্তু ক্ষরণ করে এবং তাতে পাথরের মত একটি অতিরিক্ত কঙ্কাল সৃষ্টি হয়। এর ফলে বাইরের কাঠামোটি কীটটির বহিঃপৃষ্ঠের আকার ধারণ করে। এভাবে প্রতিটি কীটের চারপাশে ও নিচে এক ধরনের কাপ বা থালা আকৃতির কাঠামো তৈরি হয়। গঠিত বস্ত্তটিই প্রবালাংশ (corallites) নামে পরিচিত। 

সাধারণত এরা কলোনি তৈরি করে বসবাস করে। কলোনির সমস্ত পলিপ জিনগতভাবে (জেনেটিক্যালি) একই রকম হয়। যদিও এরা প্রাণী তবে এরা জীবনের পূর্ণবয়ষ্ক অবস্থায় সাগরতলে কোন শক্ত তলের উপর আসন গেড়ে বসে বাকি জীবন পার করে দেয় কোন নড়াচড়া না করে। প্রতিটি প্রবাল পলিপ যেখানে গেড়ে বসে সেখানে নিজের দেহের চারপাশে ক্যালসিয়াম কার্বনেট (CaCO3) নিঃসরণের মাধ্যমে শক্ত পাথুরে খোলস বা বহিঃকঙ্কাল তৈরি করে। একটা প্রবাল পলিপের মৃত্যুর পরেও খোলসটি রয়ে যায়। এরকম প্রবালের দেহাবশেষের উপর নতুন করে আবার প্রবাল বসতে পারে। এভাবে একটা কলোনি বহু প্রজন্ম ধরে চলার ফলে বড়সড় পাথুরে আকৃতি ধারন করে। এভাবেই তৈরি হয় বড় প্রবাল দ্বীপ এবং প্রবাল প্রাচীর।

খাবার ও পুষ্টি গ্রহনঃ
পলিপ আণুবীক্ষণিক জুয়োপ্লাংক্টন থেকে শুরু করে ছোট মাছ সবই খায়। এদের মুখে অনেকগুলো কর্ষিকা থাকে। এই কর্ষিকা ব্যবহার করে ক্ষুদ্রাকার সামুদ্রিক প্রাণি বিশেষ করে ছোটো ছোটো মাছ ও প্লাঙ্কটন কে আক্রমন করে এবং বিষপ্রয়োগ করে হত্যা করে। এদের খাবার গ্রহন করার পদ্ধতি অনেকটা হাইড্রার মত। তবে অনেক প্রবালের দেহকলার ভিতরে zooxanthellae নামক এক ধরনের শৈবাল বাস করে। এই শৈবালগুলো সালোকসংশ্লেন পদ্ধতিতে খাবার উৎপন্ন করে। এই খাদ্য শৈবালগুলো প্রবালকে দেয় এবং বিনিময়ে প্রবালের শৈবালগুলো শরীর থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং NH4+ গ্রহণ করে। পারস্পরিক খাদ্য উপাদান বিনিময়ের মধ্য দিয়ে এরা পুষ্টির অভাব দূর করে। এই কারণে প্রবাল সমুদ্রেরতলে বহু নিচে বাঁচে না। স্বচ্ছ সমুদ্রজলের ৬০ মিটার (২০০ ফুট) গভীর পর্যন্ত যতটুকু আলো পৌঁছায় তা থেকেই প্রবালের দেহের শৈবালগুলো খাদ্য উৎপাদন করতে পারে এবং প্রবালের দেহে তা সরবরাহ করতে পারে। প্রবালের এই ধরণের পুষ্টিগ্রহন প্রক্রিয়ার জন্যই অনেক গবেষক মনে করতেন প্রবাল নিজেই সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে খাবার গ্রহণ করে। তবে অষ্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড উপকূলে যে বিরাট প্রবাল প্রাচীর রয়েছে, এই প্রাচীরের প্রবালগুলো কিছুটা ব্যতিক্রম। তারা সমুদ্রের গভীর তলেও শৈবালকে দেহে ধারণ করে বেঁচে থাকে। Lophelia গণের প্রবাল সমুদ্রের ৩০০০ মিটার (৯৮০০ ফুট) গভীরের বেঁচে থাকতে পারে। বাংলাদেশের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের Porites lobata প্রবালগুলো খুব বেশি গভীরে বাঁচতে পারে না।

গ্রেট ব্যরিয়ার রীফঃ
প্রবাল কিভাবে সৃষ্টি হয় তা আগেই বলেছি। পলিপের মৃত্যুর পরেও খোলসটি রয়ে যায়। প্রবালের দেহাবশেষের ওপর নতুন করে আবার প্রবাল বসতে পারে। এভাবে একটা কলোনি বহু প্রজন্ম ধরে চলার ফলে বড় আকৃতি ধারণ করে। তৈরি হয় প্রবাল দ্বীপ এবং প্রবাল প্রাচীর। এমন একটি প্রবাল প্রাচীর গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় প্রবাল প্রাচীর। দৈর্ঘ্য প্রায় ২,৫০০ মাইল। আয়তন প্রায় ৩,৪৮,৪০০ বর্গকিলোমিটার। আয়তনের কারণে প্রবাল প্রাচীরটিকে মহাকাশ থেকেও স্পষ্ট দেখা যায়। প্রায় ২৯০০ ছোট ছোট খণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত এই বৃহৎ প্রবাল প্রাচীর অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পূর্বে কুইন্সল্যান্ডে অবস্থিত। জীববৈচিত্র্যে ভরা ছোট-বড় মিলিয়ে ৯০০টি দ্বীপ রয়েছে এ প্রবাল প্রাচীরটিতে। ক্ষুদ্র জলজপ্রাণী থেকে শুরু করে বিশাল তিমি- সবই আছে এখানে। প্রায় ৩০ প্রজাতির তিমি, ডলফিন ও কাছিম এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া রয়েছে ৬ প্রজাতির সামুদ্রিক কাছিম, ২১৫ প্রজাতির পাখি এবং ১৭ প্রজাতির সামুদ্রিক সাপ। পৃথিবীর সমগ্র মৎস্যপ্রজাতির প্রায় ১০ ভাগ দ্বীপটিতে দেখা যায়। বিশ্বের প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের মধ্যে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফ অন্যতম। অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও দ্বীপটি উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। অন্যান্য বড় প্রবাল দ্বীপের মধ্যে আছে রেড সী কোরাল রীফ (Red Sea Coral Reef)। এটি ইসরাইল ও মিশরের নিকটবর্তী রেড সী-তে অবস্থিত। এই দ্বিপটি প্রায় ১৯০০ কিমি লম্বা। এর পরই আছে নিউ কেলেডোনিয়া ব্যারিয়ার রীফ। এটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত, লম্বায় প্রায় ১৫০০ কিমি। 

সেন্ট মার্টিনস দ্বীপঃ
সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের আয়তন প্রায় ৮ বর্গ কিলোমিটার ও উত্তর-দক্ষিণে লম্বা। এ দ্বীপের তিন দিকের ভিত শিলা যা জোয়ারের সময় তলিয়ে যায় এবং ভাটার সময় জেগে ওঠে। এগুলোকে ধরলে এর আয়তন হবে প্রায় ১০-১৫ বর্গ কিলোমিটার। এ দ্বীপটি উত্তর ও দক্ষিণে প্রায় ৫.৬৩ কিলোমিটার লম্বা। দ্বীপের প্রস্থ কোথাও ৭০০ মিটার আবার কোথাও ২০০ মিটার। দ্বীপটির পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম দিকে সাগরের অনেক দূর পর্যন্ত অগণিত শিলাস্তূপ আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপের গড় উচ্চতা ৩.৬ মিটার। সেন্ট মার্টিন্সের পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিক জুড়ে রয়েছে প্রায় ১০-১৫ কিলোমিটার প্রবাল প্রাচীর। সেন্ট মার্টিনস দ্বীপের প্রবালগুলো বালুকাবেলায় এবং দ্বীপ অভ্যন্তরের স্থলভাগে শিলারাশির মধ্যে প্রধানত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বালুময় তটভূমিতেও কিছু বিচ্ছিন্ন খন্ড দেখতে পাওয়া যায়। অধিকাংশ প্রবালখন্ডই আকারে ছোট। তবে কিছু এলাকায় বড় আকৃতির প্রবালও চোখে পড়ে। এই দ্বীপে ২১ প্রজাতির জীবাশ্ম প্রবাল চিহ্নিত করা গেছে। অবশ্য এগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই প্রকৃত প্রাচীর গঠনকারী প্রজাতির প্রতিনিধিত্ব করে না। একইভাবে জীবন্ত প্রবালের ৩৯টি প্রজাতিও চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে Porifies, Favites, Goniopora, Cyphastrea ও Goniastrea প্রজাতির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দ্বীপটি বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ১৯ মিমি হারে উত্থিত হচ্ছে। মধ্য অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত সময়কালে যখন সমুদ্র শান্ত, এবং জোয়ারভাটার মাত্রা অনুকূল থাকে তখন স্থানীয় লোকজন প্রবাল সংগ্রহ করে। সাধারণত পূর্ণিমা ও নতুন উদিত চাঁদের সময় প্রবাল সংগ্রহ করা হয়। প্রধানত চার ধরনের প্রবাল সংগ্রহ করা হয়। স্থানীয় ভাষায় এদের নাম হচ্ছে পাতাফুল (Acropora sp), গাছফুল (Acropra sp), শৈবাল (Favia sp) ও মগ (Goniastrea sp)। এদের মধ্যে Acropora-র চাহিদা সবচেয়ে বেশি। 

আলো জ্বলা প্রবালঃ
বিয়ে বাড়িতে তোমরা নিশ্চয়ই লাইটিং দেখেছো। সেরকমই লাইটিং বা আলোকসজ্জা করে রাখা আছে অনেক প্রবাল দ্বীপ। আমাদের বাড়িতে উৎসব হলে যেমন রঙিন আলো দিয়ে সাজাই সেইসব প্রবাল প্রাচীরগুলোও সবুজ-কমলা আলোকসজ্জা করেছে। পূর্বে আলো জ্বলা প্রবালগুলো দেখা গিয়েছে সমুদ্রের অগভীর স্থানে। সম্প্রতি কিছু আলো জ্বলা প্রবাল সমুদ্র পৃষ্ঠের ১০০ থেকে ৩০০ ফুট গভীরে পাওয়া গিয়েছে। কম গভীরতার আলোক প্রবালগুলো আসলে সেই প্রবালের সান ব্লক বা সূর্য রশ্মির প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে। এ প্রবালগুলোতে অবস্থিত কিছু রঞ্জক উপাদান সূর্যের আলোকে আটকে দেয় এবং সেই আলোকে আবার প্রতিফলিত করে। এই প্রতিফলনের ফলেই সেই প্রবালগুলো জ্বলে। এভাবে কম গভীরতার প্রবালগুলোর ভিতরে বাস করা শৈবালদের সূর্যের আলোর তীব্রতা থেকে রক্ষা করে। গভীর সমুদ্রের প্রবালগুলোর ক্ষেত্রে ঘটনা কিন্তু অন্যরকম। এগুলো সমুদ্রের এতই গভীর স্থানে থাকে যে অতদূর পর্যন্ত সূর্যের আলো পৌছায়ই না। বিজ্ঞানীরা এই প্রবালগুলোকে নিয়ে ল্যাবে গেলেন। ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেলো ঘটনা খুবই অভিনব। এই গভীর সমুদ্রের আলো জ্বলা প্রবালগুলোতে একদম অন্য ধরণের রঞ্জক উপাদান আছে। এই রঞ্জক উপাদান আসলে সমুদ্রের নিচের অন্ধকার জগতের লাইট সোর্স হিসেবে কাজ করে। এরা শুধু অন্ধকার সমুদ্রে আলোর উৎস হিসেবেই কাজ করে না বরং ঐ প্রবাল প্রাচীরগুলোতে যে সব শৈবাল বাস করে তাদের খাবার তৈরির জন্য সালোকসংশ্লেষণের সময় যে আলো লাগবে সেই আলোর যোগান এই গভীর সমুদ্রের আলোজ্বলা প্রবালগুলো দেয়। 

প্রবালের ব্যবহারঃ 
প্রবালের সবচেয়ে বেশী ব্যবহার হয় অলঙ্কার হিসেবে। নানান বাহারী অলঙ্কার তৈরিতে প্রবালের জুড়ি নেই। এর মধ্যে লাল প্রবালের চাহিদা খুব বেশী। অনেক আগ থেকেই নানান রোগ সারার জন্য মানুষ প্রবাল পাথর ধারণ করতো। তবে বর্তমানে আধুনিক অনেক ঔষধে প্রবালের ব্যবহার রয়েছে। এটি ক্যান্সার ও এইডসের প্রতিষেধকে রাসায়নিক উপাদান হিসেবে খুব ব্যবহৃত হয়। মানুষের হাড় ভাঙ্গার চিকিৎসায় বোন গ্রাফটিং-এ প্রবালের কঙ্কাল ব্যবহৃত হয়। অনেক এলাকায় কন্সট্রাকশনের কাজেও প্রবাল ব্যবহৃত হয়। পূর্ব আফ্রিকান উপকূলীয় এলাকায় বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল হিসেবে প্রবাল পাথর ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও অনেক রাজকীয় ও বিলাসবহুল বাসাবাড়িতে সুন্দর সুন্দর প্রবাল পাথর সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করে। একুয়াকালচারেও প্রবালের চাহিদা রয়েছে। তোমরাও চাইলে কিছু সুন্দর সুন্দর প্রজাতির প্রবাল তোমাদের ড্রইংরুমের একুয়ারিয়ামে রাখতে পারো। যা তোমাদের একুয়ারিমের চেহারাই বদলে দিবে।

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন