বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

আল কুরআনে দোয়া সমুহ (বিষয় ভিত্তিক আল কুরআন)

14|41|হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।

1)  সরল পথের জন্য সাহায্য কামনা

সূরা-ফাতিহা
 1 | 5-7
إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
আমরা শুধু আপনারই দাসত্ব করি (দাসত্বের শর্তপূরণ করে জীবন পরিচালনা করি) এবং শুধু আপনারই কাছে সাহায্য চাই।
اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
আমাদেরকে স্থায়িভাবে সঠিক পথ প্রদর্শন করুন
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
তাদের পথে, যাদের আপনি অনুগ্রহ দান করেছেন। তাদের (পথ ব্যতীত) যাদের উপর (আপনার) গজব পড়েছে এবং তাদেরও (পথ) নয় যারা পথভ্রষ্ট (হয়েছে)
বনীইসরাঈল
17 | 80
وَقُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
আর বলো- হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করান কল্যাণের প্রবেশ এবং বাহির করুন কল্যাণের বাহির এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাকে দান করুন সাহায্যকারী শক্তি।
আলে-ইমরান
03 | 08
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ
হে আমাদের প্রতিপালক! সঠিক পথ প্রদর্শনের পর আপনি আমাদের অন্তরকে বক্র করে দেবেন না এবং আপনার নিকট হতে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন; নিশ্চয় আপনি মহানদাতা।

2)  আল্লাহর অনুগ্রহ কামনা

আল-বাকারাহ
2 | 286
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
আল্লাহ কাউকে তার সামর্থ্যের অতিরিক্ত (বোঝা) চাপিয়ে দেন না; সে (ভাল) যা অর্জন করেছে তা তারই এবং সে (মন্দ) যা অর্জন করেছে তাও তার উপর (বর্তাবে); (রাসূল ও মু’মিনগণ বলে) হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা যদি ভুল করে বসি সেজন্য আপনি আমাদের পাকড়াও করবেন না; হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের উপর এমন বোঝা চাপিয়ে দিবেন না যেভাবে আপনি আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছিলেন; হে আমাদের প্রতিপালক! যে বোঝা বহন করার সামর্থ্য আমাদের নেই তা আমাদের উপর চাপিয়ে দিবেন না; আর আমাদের পাপমোচন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন; আপনি আমাদের অভিভাবক, অতএব কাফির সম্প্রদায়ের মুকাবেলায় আপনি আমাদের সাহায্য করুন।
আত তাহরীম
66 | 08
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ يَوْمَ لَا يُخْزِي اللَّهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ نُورُهُمْ يَسْعَى بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
হে যারা ঈমান এনেছো! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করো আন্তরিক তাওবা; আশা করা যায় তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে যার তলদেশে নদ-নদী প্রবাহিত; সে দিন আল্লাহ নবীকে এবং তার মু’মিন সঙ্গীদেরকে লজ্জিত করবেন না; তাদের আলোকবর্তিকা তাদের সামনে ও ডান পাশ দিয়ে দৌড়াতে থাকবে, তারা বলবে- হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আলোকে পূর্ণতা দান করুন এবং আমাদের ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
আল কাহফ
18 | 10
إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوا رَبَّنَا آتِنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا
যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিলো তখন তারা বলেছিলো— হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি নিজের পক্ষ থেকে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।
বনী ইসরাঈল
17 | 80
وَقُلْ رَبِّ أَدْخِلْنِي مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِي مُخْرَجَ صِدْقٍ وَاجْعَلْ لِي مِنْ لَدُنْكَ سُلْطَانًا نَصِيرًا
আর বলো- হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করান কল্যাণের প্রবেশ এবং বাহির করুন কল্যাণের বাহির এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাকে দান করুন সাহায্যকারী শক্তি।
আল-মায়েদাহ
5 | 114

قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ اللَّهُمَّ رَبَّنَا أَنْزِلْ عَلَيْنَا مَائِدَةً مِنَ السَّمَاءِ تَكُونُ لَنَا عِيدًا لِأَوَّلِنَا وَآخِرِنَا وَآيَةً مِنْكَ وَارْزُقْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
মারইয়ামের পুত্র ‘ঈসা’ দোয়া করলো— হে আমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, আমাদের জন্য আকাশ থেকে খাদ্যপূর্ণ পাত্র অবতীর্ণ করুন যেটি হবে আমাদের ও আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য আনন্দোত্সব এবং আপনার পক্ষ থেকে একটি নিদর্শন; আর আমাদের রিযিক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।
আলে ইমরান
3 | 26-27
قُلِ اللَّهُمَّ مَالِكَ الْمُلْكِ تُؤْتِي الْمُلْكَ مَنْ تَشَاءُ وَتَنْزِعُ الْمُلْكَ مِمَّنْ تَشَاءُ وَتُعِزُّ مَنْ تَشَاءُ وَتُذِلُّ مَنْ تَشَاءُ بِيَدِكَ الْخَيْرُ إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
বলো- রাজত্বের মালিক হে আল্লাহ! (অতাত্ক্ষণিকভাবে) আপনি যাকে ইচ্ছা রাজত্ব দেন ও যার নিকট হতে ইচ্ছা রাজত্ব কেড়ে নেন এবং যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করেন ও যাকে ইচ্ছা অপমানিত করেন {বল- রাজত্বের মালিক হে আল্লাহ! আপনার তৈরি প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী, কেউ রাজত্ব পায় ও কেউ রাজত্ব হারায় এবং কেউ সম্মান পায় এবং কেউ অপমানিত হয়}; সমস্ত কল্যাণ আপনারই হাতে; নিশ্চয় আপনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
3|27|تُولِجُ اللَّيْلَ فِي النَّهَارِ وَتُولِجُ النَّهَارَ فِي اللَّيْلِ وَتُخْرِجُ الْحَيَّ مِنَ الْمَيِّتِ وَتُخْرِجُ الْمَيِّتَ مِنَ الْحَيِّ وَتَرْزُقُ مَنْ تَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
(অতাত্ক্ষণিকভাবে) আপনিই রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান; আর আপনিই (অতাত্ক্ষণিকভাবে) মৃত হতে জীবনকে বের করেন আবার জীবিত হতে মৃতকে বের করেন; অন্যদিকে (অতাত্ক্ষণিকভাবে) আপনি যাকে ইচ্ছা বিপুল রিযিক দান করেন {আপনার তৈরি প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী রাত দিনের মধ্যে প্রবেশ করে এবং দিন রাতের মধ্যে প্রবেশ করে; আর আপনার তৈরি প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী মৃত হতে জীবন বের হয় আবার জীবিত হতে মৃত বের হয়; অন্যদিকে আপনার তৈরি প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী কেউ বিপুল রিজিক পায়}।

3)  শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া

আল মুমিনূন
23 | 97-98
وَقُلْ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ
আর বলো- হে আমার প্রতিপালক! আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি শয়তানদের প্ররোচনা থেকে।
وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ
আর হে আমার প্রতিপালক! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি আমার নিকট তাদের উপস্থিত হওয়া থেকে।
আল আরাফ
7 | 189
هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا فَلَمَّا تَغَشَّاهَا حَمَلَتْ حَمْلًا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ فَلَمَّا أَثْقَلَتْ دَعَوَا اللَّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحًا لَنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ
তিনিই তোমাদেরকে একজন ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন যাতে সে তার কাছে প্রশান্তি লাভ করে; অতঃপর যখন সে (স্বামী) তার সাথে মিলিত হয় তখন সে এক হালকা গর্ভধারণ করে এবং এটা নিয়ে সে চলাফেরা করে; (গর্ভ) যখন ভারী হয়ে পড়ে তখন তারা দুজনে তাদের প্রতিপালক আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলো— যদি তুমি আমাদের সুস্থ সন্তান দাও তবে নিশ্চয়ই আমরা (কুরআনে থাকা আদেশ, নিষেধ, উপদেশ ও তথ্য জানা এবং মানার মাধ্যমে আপনার প্রতি) কৃতজ্ঞ থাকবো।
আল ফালাক
113 | 1-5
০১. বলো- আমি আশ্রয় চাচ্ছি প্রভাতের প্রতিপালকের নিকট।
০২. তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।
০৩. আর অন্ধকারের অনিষ্ট হতে যখন তা আচ্ছন্ন হয়।
০৪. আর গিটে (চুক্তিতে) ফুঁ (সাক্ষর) দানকারীদের অনিষ্ট হতে।
০৫. আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
وَمِنْ شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
وَمِنْ شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
وَمِنْ شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ

আন নাস
114 | 1-6
০১. বলো- আমি আশ্রয় চাচ্ছি মানুষের রবের নিকট।
০২. (যিনি) মানুষের মালিক।
০৩. (যিনি) মানুষের ইলাহ।
০৪. খান্নাসের (আত্মগোপনকারী, বার বার ফিরে আসা কুমন্¿ণাদাতার) অনিষ্ট থেকে,
০৫. যে কুমন্¿ণা দেয় মানুষের অন্তরে,
০৬. জ্বিন ও মানুষের মধ্য থেকে।
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
مَلِكِ النَّاسِ
إِلَهِ النَّاسِ
مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ


4)  শিরক থেকে বাচতে সাহায্যের প্রর্থনা

ইবরাহীম
14 | 34-41

وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَذَا الْبَلَدَ آمِنًا وَاجْنُبْنِي وَبَنِيَّ أَنْ نَعْبُدَ الْأَصْنَامَ
৩৫. আর যখন ইব্রাহীম বলেছিলো (দোয়া করেছিলো), হে আমার প্রতিপালক! এই নগরীকে নিরাপদ করুন এবং আমাকে ও আমার পুত্রদের মূর্তিপূজা থেকে দূরে রাখুন।
رَبِّ إِنَّهُنَّ أَضْلَلْنَ كَثِيرًا مِنَ النَّاسِ فَمَنْ تَبِعَنِي فَإِنَّهُ مِنِّي وَمَنْ عَصَانِي فَإِنَّكَ غَفُورٌ رَحِيمٌ
৩৬. হে আমার প্রতিপালক! নিশ্চয় এগুলো (মূর্তিগুলো) বহু মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে; তাই যে আমার (ইব্রাহিমের) অনুসরণ করবে সে আমার দলভুক্ত; আর কেউ আমাকে অমান্য করার পর (তাওবা করলে) নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
رَبَّنَا إِنِّي أَسْكَنْتُ مِنْ ذُرِّيَّتِي بِوَادٍ غَيْرِ ذِي زَرْعٍ عِنْدَ بَيْتِكَ الْمُحَرَّمِ رَبَّنَا لِيُقِيمُوا الصَّلَاةَ فَاجْعَلْ أَفْئِدَةً مِنَ النَّاسِ تَهْوِي إِلَيْهِمْ وَارْزُقْهُمْ مِنَ الثَّمَرَاتِ لَعَلَّهُمْ يَشْكُرُونَ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমি আমার বংশধরদের কয়েক জনকে আবাসনের ব্যবস্থা করেছি অনুর্বর উপত্যকায় তোমার পবিত্র ঘরের কাছে; হে আমাদের প্রতিপালক! (এটি করেছি) এজন্য যে তারা যেনো সালাত প্রতিষ্ঠা করে (সালাতের অনুষ্ঠান নিয়ম-কানুন মেনে নিষ্ঠার সাথে পালন করে প্রতিটি অনুষ্ঠান ও পঠিত বিষয় থেকে দিতে চাওয়া শিক্ষা নিয়ে সে শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ-জীবনে প্রতিষ্ঠা করে), অতএব, আপনি কিছু লোকের অন্তর তাদের প্রতি অনুরাগী করে দিন এবং ফলফলাদি দ্বারা তাদের রিযিকের ব্যবস্থা করুন যাতে তারা (আপনার জানানো আদেশ, নিষেধ, উপদেশ ও তথ্য জানা ও মানার মাধ্যমে) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
رَبَّنَا إِنَّكَ تَعْلَمُ مَا نُخْفِي وَمَا نُعْلِنُ وَمَا يَخْفَى عَلَى اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ
হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি নিশ্চয় জানেন আমরা যা গোপন করি ও যা প্রকাশ করি; আর আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর কোনো কিছুই আল্লাহর নিকট গোপন থাকেনা।

14|39|الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَهَبَ لِي عَلَى الْكِبَرِ إِسْمَاعِيلَ وَإِسْحَاقَ إِنَّ رَبِّي لَسَمِيعُ الدُّعَاءِ
৩৯. সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাকে আমার বার্ধক্যে ইসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন; আমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রার্থনা শুনে থাকেন।
رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে সালাত প্রতিষ্ঠাকারী (সালাতের অনুষ্ঠান নিয়ম-কানুন মেনে নিষ্ঠার সাথে পালন করে প্রতিটি অনুষ্ঠান ও পঠিত বিষয় থেকে দিতে চাওয়া শিক্ষা নিয়ে সে শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজ-জীবনে প্রতিষ্ঠাকারী) বানিয়ে দিন এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও; হে আমাদের প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবুল করুন।
رَبَّنَا اغْفِرْ لِي وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ يَقُومُ الْحِسَابُ
14|41|হে আমাদের পালনকর্তা, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সব মুমিনকে ক্ষমা করুন, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।

5)  ক্ষমা চাওয়ার দোয়া

আল আরাফ
7 | 128
قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ اسْتَعِينُوا بِاللَّهِ وَاصْبِرُوا إِنَّ الْأَرْضَ لِلَّهِ يُورِثُهَا مَنْ يَشَاءُ مِنْ عِبَادِهِ وَالْعَاقِبَةُ لِلْمُتَّقِينَ
মূসা তার সম্প্রদায়কে বললো— আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো এবং ধৈর্যধারণ করো; নিশ্চয় পৃথিবী আল্লাহরই; তিনি (অতাত্ক্ষণিকভাবে) তার বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা উহার উত্তরাধিকারী করেন {তাঁর তৈরি প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী মানুষ উহার উত্তরাধিকারী হয়}; আর শুভ পরিণাম (যথাযথ মানের) আল্লাহ-সচেতন ব্যক্তিদের জন্য।
আল মুমিনূন
| 118
| 109


১১৮. আর বলো- হে আমার প্রতিপালক! ক্ষমা করো ও দয়া করো এবং তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।
إِنَّهُ كَانَ فَرِيقٌ مِنْ عِبَادِي يَقُولُونَ رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
১০৯. আমার বান্দাদের মধ্যে একদল ছিলো যারা বলতো- হে আমার প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি তুমি আমাদের ক্ষমা করো ও দয়া করো এবং তুমিই সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।

6)  জাহান্নামের আযাব থেকে বাচার দোয়া

আলে ইমরান
3 | 16
الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
যারা বলে- হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয় আমরা ঈমান এনেছি, সুতরাং আপনি আমাদের পাপ ক্ষমা করুন এবং আমাদের আগুনের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।
3 | 192-193
لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ وَمَا تُنْفِقُوا مِنْ شَيْءٍ فَإِنَّ اللَّهَ بِهِ عَلِيمٌ
হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি যাকে আগুনে নিক্ষেপ করলেন তাকে অবশ্যই আপনি অপমানিত করলেন; আর জালিমদের কোনো সাহায্যকারী নেই।
رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয় আমরা একজন আহ্বানকারীকে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি, (এই বলে) যে— তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনো, সুতরাং (তাঁর আহ্বানের সাড়া দিয়ে) আমরা ঈমান এনেছি; হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দকাজগুলো দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সত্কর্মপরায়ণদের সাথে মৃত্যুদান করুন।
3 | 194
رَبَّنَا وَآتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ
হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদের যা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমাদের দান করুন এবং কিয়ামতের দিন আমাদের অপমানিত করবেন না; নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।

7)  জান্নাতের প্রত্যাশায় দোয়া

আত তাহরীম
66 | 08
66|8|يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللَّهِ تَوْبَةً نَصُوحًا عَسَى رَبُّكُمْ أَنْ يُكَفِّرَ عَنْكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَيُدْخِلَكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ يَوْمَ لَا يُخْزِي اللَّهُ النَّبِيَّ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ نُورُهُمْ يَسْعَى بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَبِأَيْمَانِهِمْ يَقُولُونَ رَبَّنَا أَتْمِمْ لَنَا نُورَنَا وَاغْفِرْ لَنَا إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ
হে যারা ঈমান এনেছো! তোমরা আল্লাহর নিকট তাওবা করো আন্তরিক তাওবা; আশা করা যায় তোমাদের প্রতিপালক তোমাদের পাপগুলো ক্ষমা করে দেবেন এবং তোমাদেরকে প্রবেশ করাবেন জান্নাতে যার তলদেশে নদ-নদী প্রবাহিত; সে দিন আল্লাহ নবীকে এবং তার মু’মিন সঙ্গীদেরকে লজ্জিত করবেন না; তাদের আলোকবর্তিকা তাদের সামনে ও ডান পাশ দিয়ে দৌড়াতে থাকবে, তারা বলবে- হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের আলোকে পূর্ণতা দান করুন এবং আমাদের ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

8)  ধয্য এবং অত্নসমাপনকারী হতে

আল আরাফ
7 | 126
وَمَا تَنْقِمُ مِنَّا إِلَّا أَنْ آمَنَّا بِآيَاتِ رَبِّنَا لَمَّا جَاءَتْنَا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
আর তুমি আমাদের শাস্তি দিচ্ছো শুধু এজন্য যে, আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিদর্শনের প্রতি ঈমান এনেছি যখন তা আমাদের কাছে এসেছে; হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ধৈর্য দান করুন এবং মুসলমান রূপে আমাদের মৃত্যু দাও।
আল আরাফ
7 | 205
وَاذْكُرْ رَبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ وَلَا تَكُنْ مِنَ الْغَافِلِينَ
আর তোমার প্রতিপালককে ভয় ও বিনয়ের সাথে মনে মনে ও অনুচ্চস্বরে সকাল ও সন্ধ্যায় স্মরণ করো এবং তুমি উদাসীনদের (যারা common sense-ও ব্যবহার করে না তাদের) অন্তর্ভুক্ত হয়োনা।


9)  মুমিনদের ভরসা আল্লাহর উপর

সূরা-হূদ
11 | 56
11|56|إِنِّي تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ رَبِّي وَرَبِّكُمْ مَا مِنْ دَابَّةٍ إِلَّا هُوَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهَا إِنَّ رَبِّي عَلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
৫৬. নিশ্চয় আমি ভরসা করি আমার ও তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর; এমন কোনো জীব-জন্তু নেই যাদের নিয়ন্¿ণ তিনি গ্রহণ করেন নি; নিশ্চয় আমার প্রতিপালক আছেন সঠিক পথে।
সূরা-হূদ
11 | 84
وَإِلَى مَدْيَنَ أَخَاهُمْ شُعَيْبًا قَالَ يَا قَوْمِ اعْبُدُوا اللَّهَ مَا لَكُمْ مِنْ إِلَهٍ غَيْرُهُ وَلَا تَنْقُصُوا الْمِكْيَالَ وَالْمِيزَانَ إِنِّي أَرَاكُمْ بِخَيْرٍ وَإِنِّي أَخَافُ عَلَيْكُمْ عَذَابَ يَوْمٍ مُحِيطٍ
আর মাদইয়ানবাসীদের কাছে তাদের ভাই শুআইবকে (আমরা পাঠিয়েছিলাম); সে বলেছিলো- হে আমার সম্প্রদায়! তোমরা আল্লাহর দাসত্ব করো (দাসত্বে শর্তপূরন করে জীবন পরিচালিত করো), তিনি ছাড়া তোমাদের অন্য কোনো ইলাহ নেই; আর মাপে ও ওজনে কম করো না, আমি তোমাদেরকে সমৃদ্ধিশালী দেখছি কিন্তু নিশ্চয় আমি তোমাদের জন্য আশঙ্কা করছি এক সর্বগ্রাসী দিনের শাস্তির।

10)               জ্ঞান অর্জনের জন্য সাহায্যের প্রর্থনা

আশ-শুআরা
26 | 83-89

৮৩. হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং সত্কর্মপরায়ণদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
৮৪. আর আমাকে পরবর্তীদের জন্য সত্যভাষী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করুন।
৮৫. আর আমাকে নিয়ামতপূর্ণ জান্নাতের অধিকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
৮৬. আর আমার পিতাকে ক্ষমা করুন, নিশ্চয়ই তিনি পথভ্রষ্ট ছিলেন।
৮৭. আর আমাকে পুনরায় উঠানোর দিনে লাঞ্ছিত করবেন না।
৮৮. যেদিন ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি কোনো কাজে আসবে না।
৮৯. (সেদিন উপকৃত হবে কেবল সে) যে আল্লাহর নিকট আসবে বিশুদ্ধ অন্তর নিয়ে।
رَبِّ هَبْ لِي حُكْمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
وَاجْعَلْ لِي لِسَانَ صِدْقٍ فِي الْآخِرِينَ
وَاجْعَلْنِي مِنْ وَرَثَةِ جَنَّةِ النَّعِيمِ
وَاغْفِرْ لِأَبِي إِنَّهُ كَانَ مِنَ الضَّالِّينَ
وَلَا تُخْزِنِي يَوْمَ يُبْعَثُونَ
يَوْمَ لَا يَنْفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ
إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ

সূরা-ত্বাহা
20 | 114
فَتَعَالَى اللَّهُ الْمَلِكُ الْحَقُّ وَلَا تَعْجَلْ بِالْقُرْآنِ مِنْ قَبْلِ أَنْ يُقْضَى إِلَيْكَ وَحْيُهُ وَقُلْ رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا
অতএব আল্লাহ হলেন সুমহান যিনি মালিক ও সত্য; আর কুরআন পাঠে তুমি তাড়াহুড়ো করো না, যতোক্ষণ না তোমার নিকট উহার শিক্ষা ফয়সালা হয়; আর বলবে- হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।

11)               ইবরাহীম (আ:) এর দোয়া

আল মুমতাহানা
60 | 04-05
قَدْ كَانَتْ لَكُمْ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ فِي إِبْرَاهِيمَ وَالَّذِينَ مَعَهُ إِذْ قَالُوا لِقَوْمِهِمْ إِنَّا بُرَآءُ مِنْكُمْ وَمِمَّا تَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ كَفَرْنَا بِكُمْ وَبَدَا بَيْنَنَا وَبَيْنَكُمُ الْعَدَاوَةُ وَالْبَغْضَاءُ أَبَدًا حَتَّى تُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَحْدَهُ إِلَّا قَوْلَ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ لَأَسْتَغْفِرَنَّ لَكَ وَمَا أَمْلِكُ لَكَ مِنَ اللَّهِ مِنْ شَيْءٍ رَبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
তোমাদের জন্য ইব্রাহীম ও তাঁর সঙ্গী-সাথীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ; যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিলো— তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইবাদাত করো তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই; আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করি, তোমাদের ও আমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ শুরু হলো চিরকালের জন্য, যতোক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহতে ঈমান আনো, তবে এর ব্যতিক্রম হলো পিতার প্রতি ইব্রাহীমের উক্তি— আমি নিশ্চয়ই তোমার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করবো কিন্তু তোমার জন্য আল্লাহর বিপরীতে কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই; (ইবরাহীম ও তাঁর অনুসারীরা বলেছিলো) হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা আপনারই উপর নির্ভর করেছি, আপনার দিকেই ফিরে এসেছি এবং আপনারই দিকে চূড়ান্ত গন্তব্য।

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلَّذِينَ كَفَرُوا وَاغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের কাফিরদের উত্পীড়নের পাত্র বানাবেন না, হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের ক্ষমা করুন; নিশ্চয় আপনি মহাপ্রতাপশালী ও মহাপ্রজ্ঞাবান।
সূরা-নূহ
71 | 10-12

فَقُلْتُ اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُ كَانَ غَفَّارًا
অতঃপর আমি বলেছি- তোমাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো; নিশ্চয় তিনি মহাক্ষমাশীল।
وَيُمْدِدْكُمْ بِأَمْوَالٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَلْ لَكُمْ جَنَّاتٍ وَيَجْعَلْ لَكُمْ أَنْهَارًا
আর তিনি (অতাত্ক্ষণিকভাবে) তোমাদেরকে ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি দিয়ে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের জন্য তৈরি করবেন বহু বাগান ও নদ-নদী {তাঁর তৈরি প্রাকৃতিক আইন অনুযায়ী তোমরা ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততির মাধ্যমে সাহায্যপ্রাপ্ত হবে এবং তোমাদের জন্য তৈরি হবে বহু বাগান এবং নদ-নদী}

أَنِ اعْبُدُوا اللَّهَ وَاتَّقُوهُ وَأَطِيعُونِ
এ বিষয়ে যে, তোমরা আল্লাহর দাসত্ব করো (দাসত্বে শর্ত পূরণ করে জীবন পরিচালনা করো) ও তাকে ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।
সূরা-নূহ
71 | 04

71|4|يَغْفِرْ لَكُمْ مِنْ ذُنُوبِكُمْ وَيُؤَخِّرْكُمْ إِلَى أَجَلٍ مُسَمًّى إِنَّ أَجَلَ اللَّهِ إِذَا جَاءَ لَا يُؤَخَّرُ لَوْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ
০৪. তিনি তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন এবং তিনি তোমাদেরকে অবকাশ দেবেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত; নিশ্চয় আল্লাহর (নির্ধারিত) সময় উপস্থিত হলে তা বিলম্বিত করা হয় না; যদি তোমরা এটা জানতে।

12)               ইউনুস (আ) দোয়া

সূরা-আম্বিয়া
21 | 87
21|87|وَذَا النُّونِ إِذْ ذَهَبَ مُغَاضِبًا فَظَنَّ أَنْ لَنْ نَقْدِرَ عَلَيْهِ فَنَادَى فِي الظُّلُمَاتِ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
৮৭. আর যুননুন, যখন সে ক্রোধভরে বের হয়ে গিয়েছিলো এবং মনে করেছিলাম আমি তার জন্য (শাস্তি) নির্ধারণ করবো না, অতঃপর সে গভীর অন্ধকার থেকে আহ্বান করেছিলো— তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তুমি পবিত্র; নিঃসন্দেহে আমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।

13)   মুসা (আ:) দোয়া

আল কাসাস
28 | 14-26
28|14|وَلَمَّا بَلَغَ أَشُدَّهُ وَاسْتَوَى آتَيْنَاهُ حُكْمًا وَعِلْمًا وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُحْسِنِينَ
১৪. আর যখন মুসা পূর্ণ যৌবনে উপনীত হলো এবং (মানসিক) ভারসাম্যপূর্ণ হলো তখন আমরা তাকে প্রজ্ঞা ও জ্ঞান দান করলাম; এভাবে আমরা সত্কর্মপরায়ণদের পুরস্কার প্রদান করে থাকি।
28|15|وَدَخَلَ الْمَدِينَةَ عَلَى حِينِ غَفْلَةٍ مِنْ أَهْلِهَا فَوَجَدَ فِيهَا رَجُلَيْنِ يَقْتَتِلَانِ هَذَا مِنْ شِيعَتِهِ وَهَذَا مِنْ عَدُوِّهِ فَاسْتَغَاثَهُ الَّذِي مِنْ شِيعَتِهِ عَلَى الَّذِي مِنْ عَدُوِّهِ فَوَكَزَهُ مُوسَى فَقَضَى عَلَيْهِ قَالَ هَذَا مِنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ عَدُوٌّ مُضِلٌّ مُبِينٌ
১৫. আর সে একটি শহরে প্রবেশ করলো তার অধিবাসীদের অজান্তে, সেখানে সে দু’টি লোককে সংঘর্ষে লিপ্ত দেখতে পেলো; একজন তার (নিজ) দলের এবং অপরজন তার শত্রু (দলের); তাঁর (মূসার) দলের লোকটি তার শত্রুর বিরুদ্ধে তাঁর (মূসার) নিকট সাহায্য প্রার্থনা করলো; তখন মূসা তাকে ঘুষি মারলো, এভাবে সে (অনিচ্ছাকৃতভাবে) তাকে হত্যা করে বসলো; সে (মূসা) বললো— এটা শয়তানের কাজ; নিশ্চয় সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টকারী শত্রু।
قَالَ رَبِّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي فَاغْفِرْ لِي فَغَفَرَ لَهُ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
১৬. সে (মূসা) বললো— হে আমার প্রতিপালক! আমি আমার নিজের প্রতি জুলুম করেছি সুতরাং আমাকে ক্ষমা করো, অতঃপর তিনি তাকে ক্ষমা করলেন; তিনি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

28|17|قَالَ رَبِّ بِمَا أَنْعَمْتَ عَلَيَّ فَلَنْ أَكُونَ ظَهِيرًا لِلْمُجْرِمِينَ
১৭. সে আরো বললো— হে আমার প্রতিপালক! তুমি যেহেতু আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছো আমি কখনো অপরাধীদের সাহায্যকারী হবোনা।
28|18|فَأَصْبَحَ فِي الْمَدِينَةِ خَائِفًا يَتَرَقَّبُ فَإِذَا الَّذِي اسْتَنْصَرَهُ بِالْأَمْسِ يَسْتَصْرِخُهُ قَالَ لَهُ مُوسَى إِنَّكَ لَغَوِيٌّ مُبِينٌ
১৮. অতঃপর ভীত সতর্ক অবস্থায় শহরটিতে তার প্রভাত হলো, হঠাত্ (সে শুনতে পেলো) গত দিন যে ব্যক্তি তার সাহায্য চেয়েছিলো সে তার (সাহায্যের জন্য) চিত্কার করছে; মূসা তাকে বললো— তুমি স্পষ্ট একজন বিপথগামী ব্যক্তি।
28|19|فَلَمَّا أَنْ أَرَادَ أَنْ يَبْطِشَ بِالَّذِي هُوَ عَدُوٌّ لَهُمَا قَالَ يَا مُوسَى أَتُرِيدُ أَنْ تَقْتُلَنِي كَمَا قَتَلْتَ نَفْسًا بِالْأَمْسِ إِنْ تُرِيدُ إِلَّا أَنْ تَكُونَ جَبَّارًا فِي الْأَرْضِ وَمَا تُرِيدُ أَنْ تَكُونَ مِنَ الْمُصْلِحِينَ
১৯. অতঃপর সে (মূসা) যখন উভয়ের শত্রুকে ধরতে উদ্যত হলো তখন সে (ভয়ে) বলে উঠলো, হে মূসা! গতকাল তুমি যেমন এক ব্যক্তিকে হত্যা করেছো সেভাবে আমাকেও কি হত্যা করতে চাচ্ছো? তুমি তো পৃথিবীতে স্বেচ্ছাচারী হতে চাচ্ছো এবং সংশোধনকারী হতে চাওনা।
28|20|وَجَاءَ رَجُلٌ مِنْ أَقْصَى الْمَدِينَةِ يَسْعَى قَالَ يَا مُوسَى إِنَّ الْمَلَأَ يَأْتَمِرُونَ بِكَ لِيَقْتُلُوكَ فَاخْرُجْ إِنِّي لَكَ مِنَ النَّاصِحِينَ
২০. আর শহরের দূরপ্রান্ত থেকে এক ব্যক্তি ছুটে এলো (ও) বললো— হে মূসা! পরিষদবর্গ তোমাকে হত্যা করার পরামর্শ করছে সুতরাং তুমি বাইরে চলে যাও, নিশ্চয় আমি তোমার কল্যাণকামী।
فَخَرَجَ مِنْهَا خَائِفًا يَتَرَقَّبُ قَالَ رَبِّ نَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
২১. সুতরাং ভীত সতর্ক অবস্থায় সে সেখান থেকে বের হয়ে পড়লো; (আর) বললো— হে আমার প্রতিপালক! তুমি জালিম সম্প্রদায় থেকে আমাকে রক্ষা করো।
28|22|وَلَمَّا تَوَجَّهَ تِلْقَاءَ مَدْيَنَ قَالَ عَسَى رَبِّي أَنْ يَهْدِيَنِي سَوَاءَ السَّبِيلِ
২২. আর যখন মূসা মাদইয়ান অভিমুখে যাত্রা করলো তখন বললো— আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করবেন।
وَلَمَّا وَرَدَ مَاءَ مَدْيَنَ وَجَدَ عَلَيْهِ أُمَّةً مِنَ النَّاسِ يَسْقُونَ وَوَجَدَ مِنْ دُونِهِمُ امْرَأَتَيْنِ تَذُودَانِ قَالَ مَا خَطْبُكُمَا قَالَتَا لَا نَسْقِي حَتَّى يُصْدِرَ الرِّعَاءُ وَأَبُونَا شَيْخٌ كَبِيرٌ
২৩. আর যখন সে মাদইয়ানের পানির (কূপের) নিকট পৌঁছালো তখন দেখলো একদল লোক (তাদের পশুগুলোকে) পানি পান করাচ্ছে এবং তাদের পিছনে দুইজন নারী (তাদের পশুদের) আগলে রাখছে; সে (মূসা) বললো— তোমাদের দু’জনের কি অবস্থা? তারা বললো— আমরা (আমাদের পশুগুলোকে) পানি পান করাতে পারি না যতোক্ষণ রাখালেরা (তাদের পশুগুলোকে) নিয়ে সরে না যায়; আর আমাদের পিতা অতি বৃদ্ধ।
فَسَقَى لَهُمَا ثُمَّ تَوَلَّى إِلَى الظِّلِّ فَقَالَ رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنْزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ
২৪. অতএব, সে (মূসা) দু’জনের পক্ষে পশুগুলোকে পানি পান করালো তারপর সে ছায়ার নিচে গেলো এবং বললো— হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ করবেন নিশ্চয় আমি তার ভিখারী।
فَجَاءَتْهُ إِحْدَاهُمَا تَمْشِي عَلَى اسْتِحْيَاءٍ قَالَتْ إِنَّ أَبِي يَدْعُوكَ لِيَجْزِيَكَ أَجْرَ مَا سَقَيْتَ لَنَا فَلَمَّا جَاءَهُ وَقَصَّ عَلَيْهِ الْقَصَصَ قَالَ لَا تَخَفْ نَجَوْتَ مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
২৫. তখন দু’জন নারীর একজন লাজুক পায়ে তার কাছে এলো (এবং) বললো— আমার পিতা আপনাকে ডাকছেন আমাদের পশুগুলোকে পানি পান করাবার পারিশ্রমিক দেয়ার জন্য; অতঃপর সে (মূসা) তার নিকট এসে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলো; সে বললো— ভয় করো না; তুমি জালিম সম্প্রদায়ের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছো।
قَالَتْ إِحْدَاهُمَا يَا أَبَتِ اسْتَأْجِرْهُ إِنَّ خَيْرَ مَنِ اسْتَأْجَرْتَ الْقَوِيُّ الْأَمِينُ
২৬. তাদের একজন বললো— হে পিতা! আপনি একে মজুর নিযুক্ত করুন; নিশ্চয় যাকে আপনি মজুর হিসাবে নিয়োগ দেবেন তার মধ্যে উত্তম হলো- সে, যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত।
২৭. সে (মূসাকে) বললো— আমি তোমাকে আমার দু’টি মেয়ের একজনের সাথে বিয়ে দিতে চাই এ শর্তে যে, তুমি আট বছর আমার কাজ করবে; যদি তুমি দশ (বছর) পূর্ণ করো সেটা তোমার ইচ্ছা; আমি তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না; আল্লাহ চাইলে তুমি আমাকে সদাচারী পাবে।

14)                ফেরাউনের দরবারে আসার পূবে মুসা (আ:) দোয়া

সূরা-ত্বাহা
20 | 25-35
২৫. সে (মূসা) বললো— হে আমার প্রতিপালক! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দিন।
২৬. আর আমার কাজ সহজ করে দিন।
২৭. আর আমার জিহ্বার জড়তা দূর করে দিন।
২৮. (যেনো) তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
২৯. আর আমার জন্য একজন সাহায্যকারী বানিয়ে দিন, আমার স্বজনদের মধ্য হতে।
৩০. আমার ভাই হারূনকে।
৩১. তাকে দ্বারা আমার কোমরকে (শক্তিকে) সুদৃঢ় করে দিন।
৩২. আর তাকে আমার কাজে অংশীদার করে দিন।
৩৩. যেনো আমরা বেশি করে আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করতে পারি।
৩৪. আর বেশি করে আপনার যিক’র করতে পারি {আর বেশি করে আপনার আদেশ, নিষেধ, উপদেশ স্মরণ রাখতে ও অনুসরণ করতে পারি}।
৩৫. আপনি আমাদের ব্যাপারে সবকিছু দেখেন।
20|26|وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي
20|27|وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي
20|28|يَفْقَهُوا قَوْلِي
20|29|وَاجْعَلْ لِي وَزِيرًا مِنْ أَهْلِي
20|30|هَارُونَ أَخِي
20|31|اشْدُدْ بِهِ أَزْرِي
20|32|وَأَشْرِكْهُ فِي أَمْرِي
20|33|كَيْ نُسَبِّحَكَ كَثِيرًا
20|34|وَنَذْكُرَكَ كَثِيرًا
20|35|إِنَّكَ كُنْتَ بِنَا بَصِيرًا


15)                অত্যাচারীর জুলুম থেকে মুক্তির দোয়া

সূরা-ইউনুস
10 | 85-86
10|85|فَقَالُوا عَلَى اللَّهِ تَوَكَّلْنَا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
৮৫. অতঃপর তারা বললো- আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করলাম; হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের জালিম সম্প্রদায়ের নির্যাতনের শিকার করোনা।
10|86|وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
৮৬. আর আমাদেরকে তোমার অনুগ্রহে কাফির সম্প্রদায় থেকে রক্ষা করো।
10 | 88-89
10|88|وَقَالَ مُوسَى رَبَّنَا إِنَّكَ آتَيْتَ فِرْعَوْنَ وَمَلَأَهُ زِينَةً وَأَمْوَالًا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا رَبَّنَا لِيُضِلُّوا عَنْ سَبِيلِكَ رَبَّنَا اطْمِسْ عَلَى أَمْوَالِهِمْ وَاشْدُدْ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُوا حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ
৮৮. আর মূসা বললো- হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো ফিরাউন ও তার পরিষদবর্গকে দুনিয়ার জীবনে সৌন্দর্য ও সম্পদ দিয়েছ; হে আমাদের প্রতিপালক! তার সাহায্যে তারা মানুষকে তোমার পথ থেকে ভুল পথে পরিচালিত করে; হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের সম্পদ নষ্ট করে দাও, তাদের হৃদয়কে কঠিন করে দাও, তারা যন্¿ণাদায়ক শাস্তি না দেখা পর্যন্ত ঈমান আনবে না।
10|89|قَالَ قَدْ أُجِيبَتْ دَعْوَتُكُمَا فَاسْتَقِيمَا وَلَا تَتَّبِعَانِّ سَبِيلَ الَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ
৮৯. তিনি বললেন- তোমাদের দু’জনের দোয়া কবুল হলো, সুতরাং তোমরা অটল থাকো এবং তোমরা কখনো অজ্ঞদের পথ অনুসরণ করোনা।

16)                ফেরাউনের স্ত্রীর দোয়া

আত তাহরীম
66 | 10-12
66|10|ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِلَّذِينَ كَفَرُوا امْرَأَتَ نُوحٍ وَامْرَأَتَ لُوطٍ كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ فَخَانَتَاهُمَا فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللَّهِ شَيْئًا وَقِيلَ ادْخُلَا النَّارَ مَعَ الدَّاخِلِينَ
১০. আল্লাহ অবিশ্বাসীদের জন্য নূহের স্ত্রী ও লূতের স্ত্রী দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন; তারা উভয়ে ছিলো আমাদের বান্দাদের মধ্যে দুই সত্কর্মপরায়ণ বান্দার অধীনে কিন্তু তারা তাদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলো, ফলে তারা দু’জন তাদেরকে আল্লাহর সাস্তি থেকে রক্ষা করতে পারেনি এবং (তাদেরকে) বলা হয়েছিলো— তোমরা উভয়ে প্রবেশকারীদের সাথে আগুনে প্রবেশ করো।
66|11|وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِلَّذِينَ آمَنُوا امْرَأَتَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِنْدَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِنْ فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
১১. আর যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য আল্লাহ ফিরাউনের স্ত্রী দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন; যখন সে বলেছিলো— হে আমার প্রতিপালক! আপনার তরফ থেকে জান্নাতে আমার জন্য একটি ঘর নির্মাণ করুন এবং ফিরাউন ও তার দুস্কর্ম থেকে আমাকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে উদ্ধার করুন জালিম সম্প্রদায় থেকে।
66|12|وَمَرْيَمَ ابْنَتَ عِمْرَانَ الَّتِي أَحْصَنَتْ فَرْجَهَا فَنَفَخْنَا فِيهِ مِنْ رُوحِنَا وَصَدَّقَتْ بِكَلِمَاتِ رَبِّهَا وَكُتُبِهِ وَكَانَتْ مِنَ الْقَانِتِينَ
১২. আরও (দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন) ইমরানের কন্যা মারইয়ামের, যে তার সতীত্ব রক্ষা করেছিলো, ফলে আমরা তার মধ্যে আমাদের রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার প্রতিপালকের বাণী ও তাঁর কিতাবসমূহ সত্য বলে গ্রহণ করেছিলো; সে ছিলো (তার প্রতিপালকের) অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত।

17)               অসুস্থ অবস্থায় আয়ুব (আ) দোয়া

সূরা-আম্বিয়া
21 | 83-84
21|83|وَأَيُّوبَ إِذْ نَادَى رَبَّهُ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
21|84|فَاسْتَجَبْنَا لَهُ فَكَشَفْنَا مَا بِهِ مِنْ ضُرٍّ وَآتَيْنَاهُ أَهْلَهُ وَمِثْلَهُمْ مَعَهُمْ رَحْمَةً مِنْ عِنْدِنَا وَذِكْرَى لِلْعَابِدِينَ
21|83|এবং স্মরণ করুন আইয়্যুবের কথা, যখন তিনি তাঁর পালনকর্তাকে আহবান করে বলেছিলেনঃ আমি দুঃখকষ্টে পতিত হয়েছি এবং আপনি দয়াবানদের চাইতেও সর্বশ্রেষ্ট দয়াবান।
21|84|অতঃপর আমি তাঁর আহবানে সাড়া দিলাম এবং তাঁর দুঃখকষ্ট দূর করে দিলাম এবং তাঁর পরিবরাবর্গ ফিরিয়ে দিলাম, আর তাদের সাথে তাদের সমপরিমাণ আরও দিলাম আমার পক্ষ থেকে কৃপাবশতঃ আর এটা এবাদত কারীদের জন্যে উপদেশ স্বরূপ।

18)                ফেতনা হতে বাচতে ইউসুফ (আ) সাহায্য প্রার্থনা

সূরা-ইউসুফ
12 | 33-34
12|33|قَالَ رَبِّ السِّجْنُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّا يَدْعُونَنِي إِلَيْهِ وَإِلَّا تَصْرِفْ عَنِّي كَيْدَهُنَّ أَصْبُ إِلَيْهِنَّ وَأَكُنْ مِنَ الْجَاهِلِينَ
৩৩. সে (ইউসুফ) বললো— হে আমার রব! তারা (নারীরা) আমাকে যার প্রতি আহ্বান করছে তা অপেক্ষা কারাগার আমার কাছে বেশি প্রিয়; আর আপনি যদি তাদের ছলনা আমার থেকে সরিয়ে না দেন তবে আমি তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বো এবং বোধশক্তিহীনদের (যারা সঠিক ও ভুল বুঝে না) অন্তর্ভুক্ত হবো।
12|34|فَاسْتَجَابَ لَهُ رَبُّهُ فَصَرَفَ عَنْهُ كَيْدَهُنَّ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
৩৪. অতঃপর তার রব (আল্লাহ) তার আহ্বানে সাড়া দিলেন এবং তার থেকে তাদের ষড়যন্¿কে সরিয়ে দিলেন; নিশ্চয় তিনি সবকিছু শোনেন ও সবকিছু জানেন।

19)               সাফল্য লাভের পর সাহাযের প্রার্থনা

সূরা-ইউসুফ
12 | 101
12|101|رَبِّ قَدْ آتَيْتَنِي مِنَ الْمُلْكِ وَعَلَّمْتَنِي مِنْ تَأْوِيلِ الْأَحَادِيثِ فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنْتَ وَلِيِّي فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ تَوَفَّنِي مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِي بِالصَّالِحِينَ
১০১. হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে রাজত্ব দান করেছেন এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা শিক্ষা দিয়েছেন; (হে) আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা! ইহকাল ও পরকালে আপনি আমার অভিভাবক; আপনি আমাকে মুসলিম হিসাবে মৃত্যু দিন এবং আমাকে সত্কর্মশীলদের সাথে শামিল করুন।

20)               সুসন্তানের জন্য দোয়া

আল আরাফ
7|189|هُوَ الَّذِي خَلَقَكُمْ مِنْ نَفْسٍ وَاحِدَةٍ وَجَعَلَ مِنْهَا زَوْجَهَا لِيَسْكُنَ إِلَيْهَا فَلَمَّا تَغَشَّاهَا حَمَلَتْ حَمْلًا خَفِيفًا فَمَرَّتْ بِهِ فَلَمَّا أَثْقَلَتْ دَعَوَا اللَّهَ رَبَّهُمَا لَئِنْ آتَيْتَنَا صَالِحًا لَنَكُونَنَّ مِنَ الشَّاكِرِينَ
১৮৯. তিনিই তোমাদেরকে একজন ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং তার থেকে তার জোড়া সৃষ্টি করেছেন যাতে সে তার কাছে প্রশান্তি লাভ করে; অতঃপর যখন সে (স্বামী) তার সাথে মিলিত হয় তখন সে এক হালকা গর্ভধারণ করে এবং এটা নিয়ে সে চলাফেরা করে; (গর্ভ) যখন ভারী হয়ে পড়ে তখন তারা দুজনে তাদের প্রতিপালক আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করলো— যদি তুমি আমাদের সুস্থ সন্তান দাও তবে নিশ্চয়ই আমরা (কুরআনে থাকা আদেশ, নিষেধ, উপদেশ ও তথ্য জানা এবং মানার মাধ্যমে আপনার প্রতি) কৃতজ্ঞ থাকবো।
সূরা-ইউনুস
10 | 88
10|88|وَقَالَ مُوسَى رَبَّنَا إِنَّكَ آتَيْتَ فِرْعَوْنَ وَمَلَأَهُ زِينَةً وَأَمْوَالًا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا رَبَّنَا لِيُضِلُّوا عَنْ سَبِيلِكَ رَبَّنَا اطْمِسْ عَلَى أَمْوَالِهِمْ وَاشْدُدْ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُوا حَتَّى يَرَوُا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ
৮৮. আর মূসা বললো- হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি তো ফিরাউন ও তার পরিষদবর্গকে দুনিয়ার জীবনে সৌন্দর্য ও সম্পদ দিয়েছ; হে আমাদের প্রতিপালক! তার সাহায্যে তারা মানুষকে তোমার পথ থেকে ভুল পথে পরিচালিত করে; হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের সম্পদ নষ্ট করে দাও, তাদের হৃদয়কে কঠিন করে দাও, তারা যন্¿ণাদায়ক শাস্তি না দেখা পর্যন্ত ঈমান আনবে না।

21)               যাকারিয়(আ) এর সু-সন্তানের জন্য দোয়া

আলে ইমরান
3 | 37-38

3|37|فَتَقَبَّلَهَا رَبُّهَا بِقَبُولٍ حَسَنٍ وَأَنْبَتَهَا نَبَاتًا حَسَنًا وَكَفَّلَهَا زَكَرِيَّا كُلَّمَا دَخَلَ عَلَيْهَا زَكَرِيَّا الْمِحْرَابَ وَجَدَ عِنْدَهَا رِزْقًا قَالَ يَا مَرْيَمُ أَنَّى لَكِ هَذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِنْدِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَنْ يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
3|38|هُنَالِكَ دَعَا زَكَرِيَّا رَبَّهُ قَالَ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ
৩৭. অতঃপর তার প্রতিপালক তাকে (মারইয়ামকে) উত্তমরূপে গ্রহণ করলেন এবং তাকে উত্তমরূপে লালন-পালন করলেন এবং যাকারিয়া তার তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নিলো; যখনই যাকারিয়া নির্দিষ্ট কক্ষে তার সাথে সাক্ষাত্ করতে প্রবেশ করতো তখনই তার কাছে খাদ্যসামগ্রী দেখতে পেত; সে বলতো— হে মারইয়াম! এসব তোমার জন্য কোথা থেকে (আসে)? সে বলতো— আল্লাহর নিকট থেকে; নিশ্চয় আল্লাহ (তাত্ক্ষণিকভাবে) যাকে ইচ্ছা অগণিত রিযিক দান করেন (করতে পারেন)।
৩৮. সেখানেই যাকারিয়া তার প্রতিপালকের নিকট প্রার্থনা করলো; সে বললো- হে আমার প্রতিপালক, আমাকে আপনি আপনার পক্ষ থেকে একটি সু সন্তান দান করুন; নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।

22)               জাতির জন্য ইবরাহীম ও ইসমাঈল (আ) দোয়া

বাকারা
2 | 126-129
2|126|وَإِذْ قَالَ إِبْرَاهِيمُ رَبِّ اجْعَلْ هَذَا بَلَدًا آمِنًا وَارْزُقْ أَهْلَهُ مِنَ الثَّمَرَاتِ مَنْ آمَنَ مِنْهُمْ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ قَالَ وَمَنْ كَفَرَ فَأُمَتِّعُهُ قَلِيلًا ثُمَّ أَضْطَرُّهُ إِلَى عَذَابِ النَّارِ وَبِئْسَ الْمَصِيرُ
১২৬. আর যখন ইব্রাহীম বলেছিলো- হে আমার প্রতিপালক! এই শহরকে নিরাপদ শহরে পরিণত করো এবং এর অধিবাসীদের মধ্য থেকে যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করবে তাদের ফলফলাদি থেকে রিযিক দান করো; তিনি (আল্লাহ) বললেন- আর যে তাতে অবিশ্বাস করবে অল্প কিছুদিনের ভোগ্য সামগ্রী তাকেও দান করবো, তারপর তাকে আগুনের শাস্তিতে নিক্ষেপ করবো; আর তা কতইনা নিকৃষ্ট গন্তব্যস্থল।!

2|127|وَإِذْ يَرْفَعُ إِبْرَاهِيمُ الْقَوَاعِدَ مِنَ الْبَيْتِ وَإِسْمَاعِيلُ رَبَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
১২৭. আর ইব্রাহীম ও ইসমাঈল যখন এই ঘরের ভিত্তি নির্মাণ করেছিলো (তখন তারা দোয়া করেছিলো)— হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের থেকে (এ কাজ) কবুল করে নিন; নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী। 
2|128|رَبَّنَا وَاجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِنْ ذُرِّيَّتِنَا أُمَّةً مُسْلِمَةً لَكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَا إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
১২৮. হে আমাদের রব! আর আপনি আমাদের দু’জনকে আপনার নিকট আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) ও আমাদের বংশ থেকে আপনার নিকট আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) একটি উম্মত বানান এবং আমাদের ইবাদাতের (হজ্জের) নিয়ম-কানুন দেখিয়ে দিন এবং আমাদের তাওবা কবুল করুন; নিশ্চয় আপনি অতীব তাওবা কবুলকারী ও পরম দয়ালু।
2|129|رَبَّنَا وَابْعَثْ فِيهِمْ رَسُولًا مِنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِكَ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَيُزَكِّيهِمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
১২৯. হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের মধ্য থেকে তাদের কাছে এমন একজন রাসূল পাঠান যিনি তাদের আপনার আয়াত পাঠ করে শুনাবেন, কিতাব ও জ্ঞান-বিজ্ঞান শিক্ষা দেবেন এবং তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন; নিশ্চয় আপনি মহাপ্রতাপশালী ও মহাপ্রজ্ঞাবান।

26|169|رَبِّ نَجِّنِي وَأَهْلِي مِمَّا يَعْمَلُونَ
১৬৯. হে আমাদের প্রতিপালক! আমাকে এবং আমার পরিবার-পরিজনকে তাদের (অপ)কর্ম থেকে রক্ষা করুন।

23)               মরিয়ম (আ) এর মাতার দোয়া

3 | 35-36
3|35|إِذْ قَالَتِ امْرَأَتُ عِمْرَانَ رَبِّ إِنِّي نَذَرْتُ لَكَ مَا فِي بَطْنِي مُحَرَّرًا فَتَقَبَّلْ مِنِّي إِنَّكَ أَنْتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
৩৫. যখন ইমরানের স্ত্রী বলেছিলো- হে আমার প্রতিপালক! আমার গর্ভে যা আছে আমি তা একান্ত আপনার জন্যে উত্সর্গ করলাম, সুতরাং আপনি আমার নিকট থেকে তাকে কবুল করুন; নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী ।
3|36|فَلَمَّا وَضَعَتْهَا قَالَتْ رَبِّ إِنِّي وَضَعْتُهَا أُنْثَى وَاللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا وَضَعَتْ وَلَيْسَ الذَّكَرُ كَالْأُنْثَى وَإِنِّي سَمَّيْتُهَا مَرْيَمَ وَإِنِّي أُعِيذُهَا بِكَ وَذُرِّيَّتَهَا مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
৩৬. অতঃপর যখন সে তাকে (মারইয়ামকে) প্রসব করলো তখন সে বললো- হে আমার প্রতিপালক, নিশ্চয় আমি কন্যা সন্তান প্রসব করেছি; আর সে যা প্রসব করেছে আল্লাহ সে সম্পর্কে অধিক অবগত; (তার কাঙ্ক্ষিত) পুত্র সন্তান এ কন্যা সন্তানটির মতো হবে না; নিশ্চয় আমি তার নাম রাখলাম মারইয়াম এবং নিশ্চয় আমি বিতাড়িত শয়তান হতে তাকে ও তার বংশধরদের আপনার আশ্রয়ে সোপর্দ করছি।

24)               পরিবার পরিজনের জন্য দোয়া

আল-ফুরকান
25 | 73-75

25|74|وَالَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
৭৪. আর যারা প্রার্থনা করে, হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা আমাদের চোখ জুড়াবে এবং আমাদেরকে আল্লাহ-সচেতন ব্যক্তিদের  ঈমাম (অনুকরণীয়) বানিয়ে দিন।
25|75|أُولَئِكَ يُجْزَوْنَ الْغُرْفَةَ بِمَا صَبَرُوا وَيُلَقَّوْنَ فِيهَا تَحِيَّةً وَسَلَامًا
৭৫. এরা হলো তারা যাদের প্রতিদান দেয়া হবে (জান্নাতের) কক্ষ, যেহেতু তারা ধৈর্যধারণ করেছিলো এবং সেখানে তাদের অভিবাদন ও সালাম জানানো হবে।
7|151|قَالَ رَبِّ اغْفِرْ لِي وَلِأَخِي وَأَدْخِلْنَا فِي رَحْمَتِكَ وَأَنْتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
১৫১. সে (মূসা) বললো— হে আমার প্রতিপালক, আমাকে ও আমার ভাইকে ক্ষমা করো এবং আমাদের তোমার রহমতের অন্তর্ভুক্ত করো; আর তুমিই শ্রেষ্ঠ দয়ালু।

7|152|إِنَّ الَّذِينَ اتَّخَذُوا الْعِجْلَ سَيَنَالُهُمْ غَضَبٌ مِنْ رَبِّهِمْ وَذِلَّةٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَكَذَلِكَ نَجْزِي الْمُفْتَرِينَ
১৫২. যারা বাছুরকে উপাস্য হিসেবে গ্রহণ করেছিলো দুনিয়ার জীবনে শীঘ্রই তাদের উপর তাদের প্রতিপালকের ক্রোধ ও লাঞ্ছনা অবশ্যই আপতিত হবে; আর এভাবে আমরা মিথ্যা রচনাকারীদের সাস্তি দিয়ে থাকি।
7|153|وَالَّذِينَ عَمِلُوا السَّيِّئَاتِ ثُمَّ تَابُوا مِنْ بَعْدِهَا وَآمَنُوا إِنَّ رَبَّكَ مِنْ بَعْدِهَا لَغَفُورٌ رَحِيمٌ
১৫৩. আর যারা অসত্কাজ করে অতঃপর তাওবা করে ও ঈমান আনে (ঈমান দৃঢ় করে নেয়), এরপর নিশ্চয় (তাদের প্রতি) তোমার প্রতিপালক অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।
7|154|وَلَمَّا سَكَتَ عَنْ مُوسَى الْغَضَبُ أَخَذَ الْأَلْوَاحَ وَفِي نُسْخَتِهَا هُدًى وَرَحْمَةٌ لِلَّذِينَ هُمْ لِرَبِّهِمْ يَرْهَبُونَ
১৫৪. আর মূসার ক্রোধ যখন প্রশমিত হলো তখন সে ফলকগুলো তুলে নিলো; আর তাতে লেখা বিষয়ের মধ্যে ছিলো হিদায়াত ও রহমাত তাদের জন্য যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে।
7|155|وَاخْتَارَ مُوسَى قَوْمَهُ سَبْعِينَ رَجُلًا لِمِيقَاتِنَا فَلَمَّا أَخَذَتْهُمُ الرَّجْفَةُ قَالَ رَبِّ لَوْ شِئْتَ أَهْلَكْتَهُمْ مِنْ قَبْلُ وَإِيَّايَ أَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ السُّفَهَاءُ مِنَّا إِنْ هِيَ إِلَّا فِتْنَتُكَ تُضِلُّ بِهَا مَنْ تَشَاءُ وَتَهْدِي مَنْ تَشَاءُ أَنْتَ وَلِيُّنَا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنْتَ خَيْرُ الْغَافِرِينَ
১৫৫. আর মূসা নিজ সম্প্রদায় থেকে সত্তর জন লোককে আমার নির্ধারিত স্থানে সমবেত হওয়ার জন্য মনোনীত করলো; তারা যখন ভূমিকম্প দ্বারা আক্রান্ত হলো তখন মূসা বললো— হে আমার প্রতিপালক! আপনি ইচ্ছা করলে পূর্বেই এদেরকে এবং আমাকে ধ্বংস করতে পারতেন; আমাদের মধ্যে যারা নির্বোধ, তারা যা করেছে সে জন্য কি আপনি আমাদের সকলকে ধ্বংস করবেন? এটা তো শুধু আপনার পরীক্ষা যার মাধ্যমে আপনি (অতাত্ক্ষণিকভাবে) যাকে ইচ্ছা বিপথগামী করেন এবং যাকে ইচ্ছা সত্পথে পরিচালিত করেন {এটা তো শুধু আপনার পরীক্ষা যার মাধ্যমে আপনার তৈরি বিধান অনুযায়ী কেউ বিপথগামী হয় এবং কেউ সত্পথে পরিচালিত হয়}; আপনিই আমাদের অভিভাবক, সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন; আর আপনিই শ্রেষ্ঠ ক্ষমাশীল।
7|156|وَاكْتُبْ لَنَا فِي هَذِهِ الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ إِنَّا هُدْنَا إِلَيْكَ قَالَ عَذَابِي أُصِيبُ بِهِ مَنْ أَشَاءُ وَرَحْمَتِي وَسِعَتْ كُلَّ شَيْءٍ فَسَأَكْتُبُهَا لِلَّذِينَ يَتَّقُونَ وَيُؤْتُونَ الزَّكَاةَ وَالَّذِينَ هُمْ بِآيَاتِنَا يُؤْمِنُونَ
১৫৬. আর আমাদের জন্য নির্ধারিত করুন দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ, আমরা আপনারই কাছে প্রত্যাবর্তন করেছি; আল্লাহ বললেন— আমাদের শাস্তি আমরা (অতাত্ক্ষণিকভাবে) যাকে ইচ্ছা দিয়ে থাকি {আল্লাহ বললেন— আমার তৈরি বিধান অনুযায়ী মানুষ শাস্তি পায়}; আর আমাদের দয়া প্রতিটি জিনিসেই বেষ্টিত; অতঃপর (অতাত্ক্ষণিকভাবে) আমরা তা তাদের জন্য নির্ধারিত করেছি যারা (যথাযথ মানের) আল্লাহ-সচেতন হয়, যাকাত দেয় এবং যারা আমাদের আয়াতে বিশ্বাস করে {অতঃপর আমাদের তৈরি বিধানে তা তাদের জন্য নির্ধারিত যারা যথাযথ মানের আল্লাহ-সচেতন হয়, যাকাত দেয় এবং যারা আমাদের আয়াতে বিশ্বাস করে}।

25)               পিতা-মাতার জন্য দোয়া

আল আহক্বাফ
46 | 15
46|15|وَوَصَّيْنَا الْإِنْسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا حَتَّى إِذَا بَلَغَ أَشُدَّهُ وَبَلَغَ أَرْبَعِينَ سَنَةً قَالَ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَصْلِحْ لِي فِي ذُرِّيَّتِي إِنِّي تُبْتُ إِلَيْكَ وَإِنِّي مِنَ الْمُسْلِمِينَ
আমি মানুষ এই মর্মে নির্দেশনা দিয়েছি যে, তারা যেন পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করে৷ তার মা কষ্ট করে তাকে গর্ভে ধারণ করেছিলো এবং কষ্ট করেই তাকে প্রসব করেছিলো৷ তাকে গর্ভে ধারণ ও দুধপান করাতে ত্রিশ মাস লেগেছে এমন কি যখন সে পূর্ণ যৌবনে পৌঁছেছে এবং তারপর চল্লিশ বছর বয়সে উপনীত হয়েছে তখন বলেছে : “হে আমার রব, তুমি আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে যেসব নিয়ামত দান করেছো আমাকে তার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও৷ আর এমন সৎ কাজ করার তাওফীক দাও যা তুমি পছন্দ করো আমার সন্তানদেরকে সৎ বানিয়ে আমাকে সুখ দাও৷ আমি তোমার কাছে তাওবা করছি৷ আমি নির্দেশের অনুগত (মুসলিম) বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত৷”  

26)               আল্লাহর অনুগ্রহের শোকর আদায়


27|17|وَحُشِرَ لِسُلَيْمَانَ جُنُودُهُ مِنَ الْجِنِّ وَالْإِنْسِ وَالطَّيْرِ فَهُمْ يُوزَعُونَ
১৭. আর সুলাইমানের সামনে সমবেত করা হলো জ্বিন, মানুষ ও পাখির সমন্বয়ে (গঠিত) তার বাহিনীকে এবং তারা ছিলো বিভিন্ন দলে বিভক্ত।
 
27 | 17-19
27|18|حَتَّى إِذَا أَتَوْا عَلَى وَادِ النَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَا أَيُّهَا النَّمْلُ ادْخُلُوا مَسَاكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَانُ وَجُنُودُهُ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
১৮. যখন তারা পিঁপড়া অধ্যুষিত উপত্যকায় পৌঁছালো তখন একটি পিঁপড়া বললো হে পিঁপড়ার দল! তোমরা তোমাদের ঘরে প্রবেশ করো যেনো সুলাইমান এবং তার বাহিনী তাদের অজান্তে তোমাদের পিষে না ফেলে।
27|19|فَتَبَسَّمَ ضَاحِكًا مِنْ قَوْلِهَا وَقَالَ رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَى وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَأَدْخِلْنِي بِرَحْمَتِكَ فِي عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ
১৯. উহার কথায় সে (সুলাইমান) মৃদু হাসলো এবং বললো হে আমার প্রতিপালক! তুমি আমাকে সামর্থ্য দাও যাতে আমি তোমার (আদেশ, নিষেধ ও উপদেশ মানার মাধ্যমে) কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি, আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি তুমি যে অনুগ্রহ করেছো তার জন্য এবং যাতে আমি সত্কাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ করো এবং তোমার অনুগ্রহে আমাকে তোমার সত্কর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করো।

27)               আরাফবাসীর দোয়া

সূরা-আরাফ
7 | 46-50
7|46|وَبَيْنَهُمَا حِجَابٌ وَعَلَى الْأَعْرَافِ رِجَالٌ يَعْرِفُونَ كُلًّا بِسِيمَاهُمْ وَنَادَوْا أَصْحَابَ الْجَنَّةِ أَنْ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ لَمْ يَدْخُلُوهَا وَهُمْ يَطْمَعُونَ
৪৬. আর উভয়ের মাঝে (জান্নাত ও জাহান্নামের অধিবাসীদের মাঝে) একটি পর্দা (দেয়াল) থাকবে; আর আ’রাফে কিছু লোক থাকবে যারা প্রত্যেককে তাদের বিশেষ চিহ্ন দ্বারা চিনতে পারবে; আর তারা জান্নাতের অধিবাসীদেরকে ডেকে বলবে— তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক; তারা তাতে (জান্নাতে) প্রবেশ করেনি কিন্তু (জান্নাতে প্রবেশের) আকাঙ্ক্ষা পোষণ করবে।
7|47|وَإِذَا صُرِفَتْ أَبْصَارُهُمْ تِلْقَاءَ أَصْحَابِ النَّارِ قَالُوا رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
৪৭. আর যখন তাদের দৃষ্টি আগুনের অধিবাসীদের প্রতি ফিরিয়ে দেয়া হবে তখন তারা বলবে— হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদের জালিম সম্প্রদায়ের সঙ্গী করোনা।
7|48|وَنَادَى أَصْحَابُ الْأَعْرَافِ رِجَالًا يَعْرِفُونَهُمْ بِسِيمَاهُمْ قَالُوا مَا أَغْنَى عَنْكُمْ جَمْعُكُمْ وَمَا كُنْتُمْ تَسْتَكْبِرُونَ
৪৮. আর আ’রাফবাসিগণ (জাহান্নামের) কিছু লোকদের বিশেষ চিহ্ন দ্বারা চিনবে, তারা তাদের ডেকে বলবে— তোমাদের জমা করা (ধন-সম্পদ) ও তোমরা যে অহংকার করতে তা তোমাদের কোনো কাজে এলোনা।
7|49|أَهَؤُلَاءِ الَّذِينَ أَقْسَمْتُمْ لَا يَنَالُهُمُ اللَّهُ بِرَحْمَةٍ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمْ وَلَا أَنْتُمْ تَحْزَنُونَ
৪৯. (জান্নাতীদের দেখিয়ে আ’রাফবাসিরা ঐ জাহান্নামীদের বলবে) এরাই কি তারা, যাদের সম্পর্কে তোমরা কসম করে বলতে যে, আল্লাহ তাদের প্রতি কোনো অনুগ্রহ করবেন না? (আ’রাফবাসিগণকে বলা হবে) তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করো, তোমাদের কোনো ভয় নেই এবং তোমরা দুশ্চিন্তাগ্রস্তও হবেনা।
7|50|وَنَادَى أَصْحَابُ النَّارِ أَصْحَابَ الْجَنَّةِ أَنْ أَفِيضُوا عَلَيْنَا مِنَ الْمَاءِ أَوْ مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ قَالُوا إِنَّ اللَّهَ حَرَّمَهُمَا عَلَى الْكَافِرِينَ
৫০. আর জাহান্নামের অধিবাসীরা জান্নাতের অধিবাসীদের সম্বোধন করে বলবে— আমাদের উপর কিছু পানি ঢেলে দাও অথবা আল্লাহ রিযিক হিসাবে তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তা থেকে কিছু দাও; তারা বলবে— নিশ্চয় আল্লাহ এই দু’টি কাফিরদের জন্য হারাম করেছেন।

28)               যানবাহনে চরার দোয়া

  সূরা-হূদ
11 | 40-41
11|40|حَتَّى إِذَا جَاءَ أَمْرُنَا وَفَارَ التَّنُّورُ قُلْنَا احْمِلْ فِيهَا مِنْ كُلٍّ زَوْجَيْنِ اثْنَيْنِ وَأَهْلَكَ إِلَّا مَنْ سَبَقَ عَلَيْهِ الْقَوْلُ وَمَنْ آمَنَ وَمَا آمَنَ مَعَهُ إِلَّا قَلِيلٌ
৪০. অবশেষে যখন আমাদের আদেশ এলো এবং চুলা উথলে উঠলো, আমরা বললাম— প্রত্যেক (জীব) থেকে এক জোড়া এবং তোমার পরিবার-পরিজনের মধ্যে যাদের বিরুদ্ধে পূর্বেই সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে তারা ছাড়া সকলে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদের এতে উঠিয়ে নাও; আর তার সঙ্গে অল্প কয়েকজন ছাড়া কেউ ঈমান আনেনি।
11|41|وَقَالَ ارْكَبُوا فِيهَا بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَحِيمٌ
৪১. আর সে বললো— তোমরা এতে আরোহণ করো, আল্লাহর নামে এর গতি ও স্থিতি; আমার প্রতিপালক অবশ্যই ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।

29)               অবিশ্বাসীদের জন্য দোয়া না করা

11 | 45-47
11|45|وَنَادَى نُوحٌ رَبَّهُ فَقَالَ رَبِّ إِنَّ ابْنِي مِنْ أَهْلِي وَإِنَّ وَعْدَكَ الْحَقُّ وَأَنْتَ أَحْكَمُ الْحَاكِمِينَ
৪৫. আর নূহ তার প্রতিপালককে ডেকেছিলো অতঃপর বলেছিলো- হে আমার প্রতিপালক! নিশ্চয় আমার পুত্র আমার পরিবারভুক্ত এবং নিশ্চয় আপনার প্রতিশ্রুতি সত্য, আর আপনি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক।
11|46|قَالَ يَا نُوحُ إِنَّهُ لَيْسَ مِنْ أَهْلِكَ إِنَّهُ عَمَلٌ غَيْرُ صَالِحٍ فَلَا تَسْأَلْنِ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ إِنِّي أَعِظُكَ أَنْ تَكُونَ مِنَ الْجَاهِلِينَ
৪৬. তিনি বললেন- হে নূহ! সে তোমার পরিবারভুক্ত নয়; সে অবশ্যই অসত্কর্মপরায়ণ; সুতরাং তুমি আমার কাছে এমন বিষয়ে প্রশ্ন করো না যে বিষয়ে তোমার কোনো জ্ঞান নেই; আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি, যেনো তুমি বোধশক্তিহীনদের অন্তর্ভুক্ত না হও।
11|47|قَالَ رَبِّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أَسْأَلَكَ مَا لَيْسَ لِي بِهِ عِلْمٌ وَإِلَّا تَغْفِرْ لِي وَتَرْحَمْنِي أَكُنْ مِنَ الْخَاسِرِين
৪৭. সে বললো— হে আমার প্রতিপালক! নিশ্চয় আমি আপনার নিকট এমন বিষয়ে প্রশ্ন করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করি যে বিষয়ে আমার কোনো জ্ঞান নেই; আর আপনি আমাকে ক্ষমা না করলে এবং আমার প্রতি অনুগ্রহ না করলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবো।

30)               কাফেরদের সাথে যুদ্ধে সাহায্যের আবেদন

2 | 250
2|250|وَلَمَّا بَرَزُوا لِجَالُوتَ وَجُنُودِهِ قَالُوا رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
২৫০. আর যখন তারা জালুত ও তার বাহিনীর মোকাবেলার জন্য বের হলো, তারা বললো- হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ধৈর্য দান করুন, আমাদের দৃঢ়পদ রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের মোকাবেলায় আমাদেরকে সাহায্য করুন। 
আলে ইমরান
3 | 146-148
3|146|وَكَأَيِّنْ مِنْ نَبِيٍّ قَاتَلَ مَعَهُ رِبِّيُّونَ كَثِيرٌ فَمَا وَهَنُوا لِمَا أَصَابَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَمَا ضَعُفُوا وَمَا اسْتَكَانُوا وَاللَّهُ يُحِبُّ الصَّابِرِينَ
১৪৬. আর অতীতে কত নবী যুদ্ধ করেছে, তাদের সাথে বহু আল্লাহওয়ালা লোক ছিলো; অতঃপর আল্লাহর পথে তাদের উপর যা (বিপদ-আপদ) আপতিত হয়েছিলো তাতে তারা হীনবল হয়নি বা দুর্বল হয়নি এবং নতিস্বীকারও করেনি; আর আল্লাহ ধৈর্যশীলদের ভালোবাসেন।
3|147|وَمَا كَانَ قَوْلَهُمْ إِلَّا أَنْ قَالُوا رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَإِسْرَافَنَا فِي أَمْرِنَا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
১৪৭. আর একথা ছাড়া তাদের আর কোনো কথা ছিলো না— হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের পাপসমূহ এবং আমাদের কজের ক্ষেত্রে আমাদের সীমালঙ্ঘনকে আপনি ক্ষমা করুন, আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন।
3|148|فَآتَاهُمُ اللَّهُ ثَوَابَ الدُّنْيَا وَحُسْنَ ثَوَابِ الْآخِرَةِ وَاللَّهُ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
১৪৮. অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়ার পুরস্কার এবং আখিরাতের উত্তম পুরস্কার দান করলেন; আর আল্লাহ সত্কর্মপরায়ণদের ভালোবাসেন।


যে কোন পরামর্শ থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন ।।।।।।।


0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন