1) সবর আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত | |
41|34|সমান নয় ভাল ও মন্দ।
জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে,
সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। | |
41|35|এ চরিত্র তারাই লাভ
করে, যারা সবর করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। | |
41|36|যদি শয়তানের পক্ষ
থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা,
সর্বজ্ঞ। | |
2) সবর ও সালাতের মাধ্যমে আল্লহর কাছে সাহায্য
প্রার্থনা | |
2|45|ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য
প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের
পক্ষেই তা সম্ভব। | |
29|69|যারা আমার পথে সাধনায়
আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের
সাথে আছেন। | |
39|9|যে ব্যক্তি রাত্রিকালে
সেজদার মাধ্যমে অথবা দাঁড়িয়ে এবাদত করে, পরকালের আশংকা রাখে এবং তার পালনকর্তার রহমত
প্রত্যাশা করে, সে কি তার সমান, যে এরূপ করে না; বলুন, যারা জানে এবং যারা জানে না;
তারা কি সমান হতে পারে? চিন্তা-ভাবনা কেবল তারাই করে, যারা বুদ্ধিমান। | |
39|10|বলুন, হে আমার বিশ্বাসী
বান্দাগণ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর। যারা এ দুনিয়াতে সৎকাজ করে, তাদের
জন্যে রয়েছে পুণ্য। আল্লাহর পৃথিবী প্রশস্ত। যারা সবরকারী, তারাই তাদের পুরস্কার
পায় অগণিত। | |
46|35|অতএব, আপনি সবর করুন,
যেমন উচ্চ সাহসী পয়গম্বরগণ সবর করেছেন এবং ওদের বিষয়ে তড়িঘড়ি করবেন না। ওদেরকে যে
বিষয়ে ওয়াদা দেয়া হত, তা যেদিন তারা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন তাদের মনে হবে যেন তারা
দিনের এক মুহুর্তের বেশী পৃথিবীতে অবস্থান করেনি। এটা সুস্পষ্ট অবগতি। এখন তারাই
ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে, যারা পাপাচারী সম্প্রদায়। | |
3) নিজে সবর করা এবং অন্যকেও উপদেশ দেওয়া | |
90|17|অতঃপর তাদের অন্তর্ভুক্ত
হওয়া, যারা ঈমান আনে এবং পরস্পরকে উপদেশ দেয় সবরের ও উপদেশ দেয় দয়ার। | |
103|1|কসম যুগের (সময়ের), 103|2|নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত;
103|3|কিন্তু তারা নয়, যারা
বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের। | |
4) বিপদে সবর করা | |
31|17|হে বৎস, নামায কায়েম
কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদাপদে সবর কর। নিশ্চয় এটা সাহসিকতার
কাজ। | |
3|200|হে ঈমানদানগণ! ধৈর্য্য
ধারণ কর এবং মোকাবেলায় দৃঢ়তা অবলম্বন কর। আর আল্লাহকে ভয় করতে থাক যাতে তোমরা তোমাদের
উদ্দেশ্য লাভে সমর্থ হতে পার। | |
5) যেকোন অবস্থায় সবর করা মুমিনদের কর্তব্য | |
3|145|আর আল্লাহর হুকুম
ছাড়া কেউ মরতে পারে না-সেজন্য একটা সময় নির্ধারিত রয়েছে। বস্তুতঃ যে লোক দুনিয়ায়
বিনিময় কামনা করবে, আমি তাকে তা দুনিয়াতেই দান করব। পক্ষান্তরে-যে লোক আখেরাতে বিনিময়
কামনা করবে, তা থেকে আমি তাকে তাই দেবো। আর যারা কৃতজ্ঞ তাদেরকে আমি প্রতিদান দেবো | |
3|146|আর বহু নবী ছিলেন,
যাঁদের সঙ্গী-সাথীরা তাঁদের অনুবর্তী হয়ে জেহাদ করেছে; আল্লাহর পথে-তাদের কিছু কষ্ট
হয়েছে বটে, কিন্তু আল্লাহর রাহে তারা হেরেও যায়নি, ক্লান্তও হয়নি এবং দমেও যায়নি।
আর যারা সবর করে, আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন। | |
6) দাওয়াতি কজে ধর্য্য..... | |
14|5|আমি মূসাকে নিদর্শনাবলী
সহ প্রেরণ করেছিলাম যে, স্বজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে আনয়ন এবং তাদেরকে আল্লাহর
দিনসমূহ স্মরণ করান। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। | |
7) পরিক্ষায় সফল হতে হলে অবশ্যই ধৈর্যশীল হওয়া | |
3|186|অবশ্য ধন-সম্পদে এবং
জনসম্পদে তোমাদের পরীক্ষা হবে এবং অবশ্য তোমরা শুনবে পূর্ববর্তী আহলে কিতাবদের
কাছে এবং মুশরেকদের কাছে বহু অশোভন উক্তি। আর যদি তোমরা ধৈর্য্য ধারণ কর এবং পরহেযগারী
অবলম্বন কর, তবে তা হবে একান্ত সৎসাহসের ব্যাপার। | |
8) সবর হেদায়েতের পথ | |
40|54|বুদ্ধিমানদের জন্যে
উপদেশ ও হেদায়েত স্বরূপ। | |
40|55|অতএব, আপনি সবর করুন
নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। আপনি আপনার গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রর্থনা করুন এবং সকাল-সন্ধ্যায়
আপনার পালনকর্তার প্রশংসাসহ পবিত্রতা বর্ণনা করুন। | |
40|56|নিশ্চয় যারা আল্লাহর
আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে তাদের কাছে আগত কোন দলীল ব্যতিরেকে, তাদের অন্তরে আছে
কেবল আত্নম্ভরিতা, যা অর্জনে তারা সফল হবে না। অতএব, আপনি আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা
করুন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু শুনেন, সবকিছু দেখেন। | |
9) সবরকারীদের পুরস্কার | |
33|35|নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ,
মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ,
সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল
পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী
পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের
জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার। | |
3|15|বলুন, আমি কি তোমাদেরকে
এসবের চাইতেও উত্তম বিষয়ের সন্ধান বলবো?-যারা পরহেযগার, আল্লাহর নিকট তাদের জন্যে
রয়েছে বেহেশত, যার তলদেশে প্রস্রবণ প্রবাহিত-তারা সেখানে থাকবে অনন্তকাল। আর রয়েছে
পরিচ্ছন্ন সঙ্গিনীগণ এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি সুদৃষ্টি
রাখেন। | |
3|16|যারা বলে, হে আমাদের
পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের
আযাব থেকে রক্ষা কর। | |
3|17|তারা ধৈর্য্যধারণকারী,
সত্যবাদী, নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। | |
11|10|আর যদি তার উপর আপতিত
দুঃখ কষ্টের পরে তাকে সুখভোগ করতে দেই, তবে সে বলতে থাকে যে, আমার অমঙ্গল দূর হয়ে
গেছে, আর সে আনন্দে আত্নহারা হয়, অহঙ্কারে উদ্দত হয়ে পড়ে। | |
11|11|তবে যারা ধৈর্য্যধারণ
করেছে এবং সৎকার্য করেছে তাদের জন্য ক্ষমা ও বিরাট প্রতিদান রয়েছে। | |
13|20|এরা এমন লোক, যারা
আল্লাহর প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে এবং অঙ্গীকার ভঙ্গ করে না। | |
13|21|এবং যারা বজায় রাখে
ঐ সম্পর্ক, যা বজায় রাখতে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন এবং স্বীয় পালনকর্তাকে ভয় করে এবং
কঠোর হিসাবের আশঙ্কা রাখে। | |
13|22|এবং যারা স্বীয় পালনকর্তার
সন্তুষ্টির জন্যে সবর করে, নামায প্রতিষ্টা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা থেকে
গোপনে ও প্রকাশ্য ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভাল করে, তাদের জন্যে রয়েছে
পরকালের গৃহ। | |
13|23|তা হচ্ছে বসবাসের
বাগান। তাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের সৎকর্মশীল বাপ-দাদা, স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানেরা।
ফেরেশতারা তাদের কাছে আসবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে। | |
13|24|বলবেঃ তোমাদের সবরের
কারণে তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক। আর তোমাদের এ পরিণাম-গৃহ কতই না চমৎকার। | |
25|73|এবং যাদেরকে তাদের
পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধির সদৃশ আচরণ করে না। | |
25|74|এবং যারা বলে, হে
আমাদের পালনকর্তা, আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানের পক্ষ থেকে আমাদের
জন্যে চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্যে আদর্শস্বরূপ কর। | |
25|75|তাদেরকে তাদের সবরের
প্রতিদানে জান্নাতে কক্ষ দেয়া হবে এবং তাদেরকে তথায় দোয়া ও সালাম সহকারে অভ্যর্থনা
করা হবে। | |
28|52|কোরআনের পূর্বে আমি
যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তারা এতে বিশ্বাস করে। | |
28|53|যখন তাদের কাছে এটা
পাঠ করা হয়, তখন তারা বলে, আমরা এর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। এটা আমাদের পালনকর্তার
পক্ষ থেকে সত্য। আমরা এর পূর্বেও আজ্ঞাবহ ছিলাম। | |
28|54|তারা দুইবার পুরস্কৃত
হবে তাদের সবরের কারণে। তারা মন্দের জওয়াবে ভাল করে এবং আমি তাদেরকে যা দিয়েছি, তা
থেকে ব্যয় করে। | |
41|33|যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত
দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন আজ্ঞাবহ, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার? | |
41|34|সমান নয় ভাল ও মন্দ।
জওয়াবে তাই বলুন যা উৎকৃষ্ট। তখন দেখবেন আপনার সাথে যে ব্যক্তির শুত্রুতা রয়েছে,
সে যেন অন্তরঙ্গ বন্ধু। | |
41|35|এ চরিত্র তারাই লাভ
করে, যারা সবর করে এবং এ চরিত্রের অধিকারী তারাই হয়, যারা অত্যন্ত ভাগ্যবান। | |
76|5|নিশ্চয়ই সৎকর্মশীলরা
পান করবে কাফুর মিশ্রিত পানপাত্র। | |
76|6|এটা একটা ঝরণা, যা
থেকে আল্লাহর বান্দাগণ পান করবে-তারা একে প্রবাহিত করবে। | |
76|7|তারা মান্নত পূর্ণ
করে এবং সেদিনকে ভয় করে, যেদিনের অনিষ্ট হবে সুদূরপ্রসারী। | |
76|8|তারা আল্লাহর প্রেমে
অভাবগ্রস্ত, এতীম ও বন্দীকে আহার্য দান করে। | |
76|9|তারা বলেঃ কেবল আল্লাহর
সন্তুষ্টির জন্যে আমরা তোমাদেরকে আহার্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোন প্রতিদান
ও কৃতজ্ঞতা কামনা করি না। | |
76|10|আমরা আমাদের পালনকর্তার
তরফ থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের ভয় রাখি। | |
76|11|অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে
সেদিনের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন এবং তাদেরকে দিবেন সজীবতা ও আনন্দ। | |
76|12|এবং তাদের সবরের প্রতিদানে
তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক। | |
10)
কাফেরদের
মোকাবেলায় ধৈর্য্যধারণ করা | |
7|126|বস্তুতঃ আমাদের সাথে
তোমার শত্রুতা তো এ কারণেই যে, আমরা ঈমান এনেছি আমাদের পরওয়ারদেগারের নিদর্শনসমূহের
প্রতি যখন তা আমাদের নিকট পৌঁছেছে। হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের
দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর। | |
7|127|ফেরাউনের সম্প্রদায়ের
র্সদাররা বলল, তুমি কি এমনি ছেড়ে দেবে মূসা ও তার সম্প্রদায়কে। দেশময় হৈ-চৈ করার
জন্য এবং তোমাকে ও তোমার দেব-দেবীকে বাতিল করে দেবার জন্য। সে বলল, আমি এখনি হত্যা
করব তাদের পুত্র সন্তানদিগকে; আর জীবিত রাখব মেয়েদেরকে। বস্তুতঃ আমরা তাদের উপর প্রবল। | |
7|128|মূসা বললেন তার কওমকে,
সাহায্য প্রার্থনা কর আল্লাহর নিকট এবং ধৈর্য্য ধারণ কর। নিশ্চয়ই এ পৃথিবী আল্লাহর।
তিনি নিজের বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা এর উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেন এবং শেষ কল্যাণ
মুত্তাকীদের জন্যই নির্ধারিত রয়েছে। | |
7|129|তারা বলল, আমাদের
কষ্ট ছিল তোমার আসার পূর্বে এবং তোমার আসার পরে। তিনি বললেন, তোমাদের পরওয়ারদেগার
শীঘ্রই তোমাদের শক্রদের ধ্বংস করে দেবেন এবং তোমাদেরকে দেশে প্রতিনিধিত্ব দান করবেন।
তারপর দেখবেন, তোমরা কেমন কাজ কর। | |
7|130|তারপর আমি পাকড়াও
করেছি-ফেরাউনের অনুসারীদেরকে দুর্ভিক্ষের মাধ্যমে এবং ফল ফসলের ক্ষয়-ক্ষতির মাধ্যমে
যাতে করে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। | |
10|108|বলে দাও, হে মানবকুল,
সত্য তোমাদের কাছে পৌঁছে গেছে তোমাদের পরওয়ারদেগারের তরফ থেকে। এমন যে কেউ পথে
আসে সেপথ প্রাপ্ত হয় স্বীয় মঙ্গলের জন্য। আর যে বিভ্রান্ত ঘুরতে থাকে, সে স্বীয় অমঙ্গলের
জন্য বিভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে থাকবে। অনন্তর আমি তোমাদের উপর অধিকারী নই। | |
10|109|আর তুমি চল সে অনুযায়ী
যেমন নির্দেশ আসে তোমার প্রতি এবং সবর কর, যতক্ষণ না ফয়সালা করেন আল্লাহ। বস্তুতঃ
তিনি হচ্ছেন সর্বোত্তম ফয়সালাকারী। | |
40|75|এটা একারণে যে, তোমরা
দুনিয়াতে অন্যায়ভাবে আনন্দ-উল্লাস করতে এবং এ কারণে যে, তোমরা ঔদ্ধত্য করতে। | |
40|76|প্রবেশ কর তোমরা
জাহান্নামের দরজা দিয়ে সেখানে চিরকাল বসবাসের জন্যে। কত নিকৃষ্ট দাম্ভিকদের আবাসস্থল। | |
40|77|অতএব আপনি সবর করুন।
নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে যে শাস্তির ওয়াদা দেই, তার কিয়দংশ
যদি আপনাকে দেখিয়ে দেই অথবা আপনার প্রাণ হরণ করে নেই, সর্বাবস্থায় তারা তো আমারই
কাছে ফিরে আসবে। | |
11)
পরস্পরে
বিবাদ না করে ধৈর্য্যধারণ করা | |
8|46|আর আল্লাহ তা’আলার
নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি
তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ
কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে। | |
16|94|তোমরা স্বীয় কসমসমূহকে
পারস্পরিক কলহ দ্বন্দ্বের বাহানা করো না। তা হলে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর পা
ফসকে যাবে এবং তোমরা শাস্তির স্বাদ আস্বাদন করবে এ কারণে যে, তোমরা আমার পথে বাধা
দান করেছ এবং তোমাদের কঠোর শাস্তি হবে। | |
16|95|তোমরা আল্লাহর অঙ্গীকারের
বিনিময়ে সামান্য মূল্য গ্রহণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে যা আছে, তা উত্তম তোমাদের
জন্যে, যদি তোমরা জ্ঞানী হও। | |
16|96|তোমাদের কাছে যা
আছে নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং আল্লাহর কাছে যা আছে, কখনও তা শেষ হবে না। যারা সবর করে,
আমি তাদেরকে প্রাপ্য প্রতিদান দেব তাদের উত্তম কর্মের প্রতিদান স্বরূপ যা তারা করত। | |
12)
অবিশ্বাসীদের
জাঁকজমকে বিভ্রান্ত না হয়ে সবর করা | |
28|79|অতঃপর কারুন জাঁকজমক
সহকারে তার সম্প্রদায়ের সামনে বের হল। যারা পার্থিব জীবন কামনা করত, তারা বলল, হায়,
কারুন যা প্রাপ্ত হয়েছে, আমাদেরকে যদি তা দেয়া হত! নিশ্চয় সে বড় ভাগ্যবান। | |
28|80|আর যারা জ্ঞান প্রাপ্ত
হয়েছিল, তার বলল, ধিক তোমাদেরকে, যারা ঈমানদার এবং সৎকর্মী, তাদের জন্যে আল্লাহর
দেয়া সওয়াবই উৎকৃষ্ট। এটা তারাই পায়, যারা সবরকারী। | |
46|34|যেদিন কাফেরদেরকে
জাহান্নামের সামনে পেশ করা হবে, সেদিন বলা হবে, এটা কি সত্য নয়? তারা বলবে, হঁ্যা
আমাদের পালনকর্তার শপথ। আল্লাহ বলবেন, আযাব আস্বাদন কর। কারণ, তোমরা কুফরী করতে। | |
46|35|অতএব, আপনি সবর করুন,
যেমন উচ্চ সাহসী পয়গম্বরগণ সবর করেছেন এবং ওদের বিষয়ে তড়িঘড়ি করবেন না। ওদেরকে যে
বিষয়ে ওয়াদা দেয়া হত, তা যেদিন তারা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন তাদের মনে হবে যেন তারা
দিনের এক মুহুর্তের বেশী পৃথিবীতে অবস্থান করেনি। এটা সুস্পষ্ট অবগতি। এখন তারাই
ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে, যারা পাপাচারী সম্প্রদায়। | |
13)
আল্লাহর
সিদ্ধান্তের ব্যপারে সবর করা উচিৎ | |
34|15|সাবার অধিবাসীদের
জন্যে তাদের বাসভূমিতে ছিল এক নিদর্শন-দুটি উদ্যান, একটি ডানদিকে, একটি বামদিকে।
তোমরা তোমাদের পালনকর্তার রিযিক খাও এবং তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর। স্বাস্থ্যকর
শহর এবং ক্ষমাশীল পালনকর্তা। | |
34|16|অতঃপর তারা অবাধ্যতা
করল ফলে আমি তাদের উপর প্রেরণ করলাম প্রবল বন্যা! আর তাদের উদ্যানদ্বয়কে পরিবর্তন
করে দিলাম এমন দুই উদ্যানে, যাতে উদগত হয় বিস্বাদ ফলমূল, ঝাউ গাছ এবং সামান্য কুলবৃক্ষ। | |
34|17|এটা ছিল কুফরের কারণে
তাদের প্রতি আমার শাস্তি। আমি অকৃতজ্ঞ ব্যতীত কাউকে শাস্তি দেই না। | |
34|18|তাদের এবং যেসব জনপদের
লোকদের প্রতি আমি অনুগ্রহ করেছিলম সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে অনেক দৃশ্যমান জনপদ
স্থাপন করেছিলাম এবং সেগুলোতে ভ্রমণ নির্ধারিত করেছিলাম। তোমরা এসব জনপদে রাত্রে
ও দিনে নিরাপদে ভ্রমণ কর। | |
34|19|অতঃপর তারা বলল, হে
আমাদের পালনকর্তা, আমাদের ভ্রমণের পরিসর বাড়িয়ে দাও। তারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছিল।
ফলে আমি তাদেরকে উপাখ্যানে পরিণত করলাম এবং সম্পূর্ণরূপে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিলাম।
নিশ্চয় এতে প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। | |
14)
আল্লাহর
অনুগ্রহের কথা স্মরন করে বিপদে সবর করা | |
42|27|যদি আল্লাহ তাঁর সকল
বান্দাকে প্রচুর রিযিক দিতেন, তবে তারা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করত। কিন্তু তিনি
যে পরিমাণ ইচ্ছা সে পরিমাণ নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের খবর রাখেন ও সবকিছু
দেখেন। | |
42|28|মানুষ নিরাশ হয়ে যাওয়ার
পরে তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং স্বীয় রহমত ছড়িয়ে দেন। তিনিই কার্যনির্বাহী, প্রশংসিত। | |
42|29|তাঁর এক নিদর্শন নভোমন্ডল
ও ভূমন্ডলের সৃষ্টি এবং এতদুভয়ের মধ্যে তিনি যেসব জীব-জন্তু ছড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি
যখন ইচ্ছা এগুলোকে একত্রিত করতে সক্ষম। | |
42|30|তোমাদের উপর যেসব
বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে
দেন। | |
42|31|তোমরা পৃথিবীতে পলায়ন
করে আল্লাহকে অক্ষম করতে পার না এবং আল্লাহ ব্যতীত তোমাদের কোন কার্যনির্বাহী নেই,
সাহায্যকারীও নেই। | |
42|32|সমুদ্রে ভাসমান পর্বতসম
জাহাজসমূহ তাঁর অন্যতম নিদর্শন। | |
42|33|তিনি ইচ্ছা করলে বাতাসকে
থামিয়ে দেন। তখন জাহাজসমূহ সমুদ্রপৃষ্ঠে নিশ্চল হয়ে পড়ে যেন পাহাড়। নিশ্চয় এতে প্রত্যেক
সবরকারী, কৃতজ্ঞের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। | |
15)
আল্লাহ
ধর্যশীলদের সাথে থাকেন | |
8|46|আর আল্লাহ তা’আলার
নির্দেশ মান্য কর এবং তাঁর রসূলের। তাছাড়া তোমরা পরস্পরে বিবাদে লিপ্ত হইও না। যদি
তা কর, তবে তোমরা কাপুরুষ হয়ে পড়বে এবং তোমাদের প্রভাব চলে যাবে। আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ
কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা রয়েছেন ধৈর্য্যশীলদের সাথে। | |
16)
ধর্যশীলদের
জন্য আল্লাহর সাহায্য | |
2|153|হে মুমিন গন! তোমরা
ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের
সাথে রয়েছেন। | |
3|123|বস্তুতঃ আল্লাহ বদরের
যুদ্ধে তোমাদের সাহায্য করেছেন, অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। কাজেই আল্লাহকে ভয় করতে
থাক, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো। | |
3|124|আপনি যখন বলতে লাগলেন
মুমিনগণকে-তোমাদের জন্য কি যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের সাহায্যার্থে তোমাদের পালনকর্তা
আসমান থেকে অবতীর্ণ তিন হাজার ফেরেশতা পাঠাবেন। | |
3|125|অবশ্য তোমরা যদি
সবর কর এবং বিরত থাক আর তারা যদি তখনই তোমাদের উপর চড়াও হয়, তাহলে তোমাদের পালনকর্তা
চিহিߦ#2468; ঘোড়ার উপর পাঁচ হাজার ফেরেশতা তোমাদের সাহায্যে পাঠাতে পারেন। | |
17)
সত্য
পন্থীদের সাফল্যের পূর্ব শর্ত সবর | |
2|45|ধৈর্য্যর সাথে সাহায্য
প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে। অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের
পক্ষেই তা সম্ভব। | |
2|153|হে মুমিন গন! তোমরা
ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের
সাথে রয়েছেন। | |
2|249|অতঃপর তালূত যখন সৈন্য-সামন্ত
নিয়ে বেরুল, তখন বলল, নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদিগকে পরীক্ষা করবেন একটি নদীর মাধ্যমে।
সুতরাং যে লোক সেই নদীর পানি পান করবে সে আমার নয়। আর যে, লোক তার স্বাদ গ্রহণ
করলো না, নিশ্চয়ই সে আমার লোক। কিন্তু যে লোক হাতের আঁজলা ভরে সামান্য খেয়ে নেবে
তার দোষঅবশ্য তেমন গুরুতর হবে না। অতঃপর সবাই পান করল সে পানি, সামান্য কয়েকজন ছাড়া।
পরে তালূত যখন তা পার হলো এবং তার সাথে ছিল মাত্র কয়েকজন ঈমানদার, তখন তারা বলতে
লাগল, আজকের দিনে জালূত এবং তার সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার শক্তি আমাদের নেই, যাদের
ধারণা ছিল যে, আল্লাহর সামনে তাদের একদিন উপস্থিত হতে হবে, তারা বার বার বলতে লাগল,
সামান্য দলই বিরাট দলের মোকাবেলায় জয়ী হয়েছে আল্লাহর হুকুমে। আর যারা ধৈর্য্যশীল
আল্লাহ তাদের সাথে রয়েছেন। | |
3|120|তোমাদের যদি কোন
মঙ্গল হয়; তাহলে তাদের খারাপ লাগে। আর তোমাদের যদি অমঙ্গল হয় তাহলে আনন্দিত হয় আর
তাতে যদি তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর, তবে তাদের প্রতারণায় তোমাদের
কোনই ক্ষতি হবে না। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সমস্তই আল্লাহর আয়ত্তে রয়েছে। | |
6|34|আপনার পূর্ববর্তী অনেক
পয়গম্বরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তাঁরা এতে ছবর করেছেন। তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছে
পর্যন্ত তারা নির্যাতিত হয়েছেন। আল্লাহর বানী কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। আপনার কাছে
পয়গম্বরদের কিছু কাহিনী পৌঁছেছে। | |
11|49|এটি গায়বের খবর, আমি
আপনার প্রতি ওহী প্রেরন করছি। ইতিপূর্বে এটা আপনার এবং আপনার জাতির জানা ছিল না।
আপনি ধৈর্য্যধারণ করুন। যারা ভয় করে চলে, তাদের পরিণাম ভাল, সন্দেহ নেই। | |
11|114|আর দিনের দুই প্রান্তেই
নামায ঠিক রাখবে, এবং রাতের প্রান্তভাগে পূর্ণ কাজ অবশ্যই পাপ দূর করে দেয়, যারা
স্মরণ রাখে তাদের জন্য এটি এক মহা স্মারক। | |
11|115|আর ধৈর্য্যধারণ কর,
নিশ্চয়ই আল্লাহ পূণ্যবানদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না। | |
16|126|আর যদি তোমরা প্রতিশোধ
গ্রহণ কর, তবে ঐ পরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করবে, যে পরিমাণ তোমাদেরকে কষ্ট দেয়া হয়।
যদি সবর কর, তবে তা সবরকারীদের জন্যে উত্তম। | |
16|127|আপনি সবর করবেন।
আপনার সবর আল্লাহর জন্য ব্যতীত নয়, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না এবং তাদের চক্রান্তের
কারণে মন ছোট করবেন না। | |
76|12|এবং তাদের সবরের প্রতিদানে
তাদেরকে দিবেন জান্নাত ও রেশমী পোশাক। | |
18) অর্ধয্য মানুষের সভাবজাত প্রবনতা | |
17|11|মানুষ যেভাবে কল্যাণ
কামনা করে, সেভাবেই অকল্যাণ কামনা করে। মানুষ তো খুবই দ্রুততা প্রিয়। | |
68|48|আপনি আপনার পালনকর্তার
আদেশের অপেক্ষায় সবর করুন এবং মাছওয়ালা ইউনুসের মত হবেন না, যখন সে দুঃখাকুল মনে
প্রার্থনা করেছিল। | |
19)
দাওয়াতী
কাজে ধর্যশীল হওয়া | |
68|48|আপনি আপনার পালনকর্তার
আদেশের অপেক্ষায় সবর করুন এবং মাছওয়ালা ইউনুসের মত হবেন না, যখন সে দুঃখাকুল মনে
প্রার্থনা করেছিল। | |
70|5|অতএব, আপনি উত্তম সবর
করুন। 74|6|অধিক প্রতিদানের আশায়
অন্যকে কিছু দিবেন না। 74|7|এবং আপনার পালনকর্তার উদ্দেশে সবর করুন। | |
76|24|অতএব, আপনি আপনার
পালনকর্তার আদেশের জন্যে ধৈর্য্য সহকারে অপেক্ষা করুন এবং ওদের মধ্যকার কোন পাপিষ্ঠ
কাফেরের আনুগত্য করবেন না। |
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন