অপবাদ
2|42|তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে
দিও না এবং জানা সত্ত্বে সত্যকে তোমরা গোপন করো না।
অপবাদ রটনাকারীর শাস্তি
24|23|যারা সতী-সাধ্বী, নিরীহ ঈমানদার
নারীদের প্রতি অপবাদ আরোপ করে, তারা ইহকালে ও পরকালে ধিকৃত এবং তাদের জন্যে রয়েছে
গুরুতর শাস্তি।
24|24|যেদিন প্রকাশ করে দেবে তাদের জিহবা,
তাদের হাত ও তাদের পা, যা কিছু তারা করত;
24|25|সেদিন আল্লাহ তাদের সমুচিত শাস্তি
পুরোপুরি দেবেন এবং তারা জানতে পারবে যে, অল্লাহই সত্য, স্পষ্ট ব্যক্তকারী।
24|26|দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা
।33|58|যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদেরকে কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা
অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।
4|112|যে ব্যক্তি ভূল কিংবা গোনাহ করে,
অতঃপর কোন নিরপরাধের উপর অপবাদ আরোপ করে সে নিজের মাথায় বহন করে জঘন্য মিথ্যা ও প্রকাশ্য
গোনাহ।
24|11|যারা মিথ্যা অপবাদ রটনা করেছে,
তারা তোমাদেরই একটি দল। তোমরা একে নিজেদের জন্যে খারাপ মনে করো না; বরং এটা তোমাদের
জন্যে মঙ্গলজনক। তাদের প্রত্যেকের জন্যে ততটুকু আছে যতটুকু সে গোনাহ করেছে এবং তাদের
মধ্যে যে এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে, তার জন্যে রয়েছে বিরাট শাস্তি।
24|12|তোমরা যখন একথা শুনলে, তখন ঈমানদার
পুরুষ ও নারীগণ কেন নিজেদের লোক সম্পর্কে উত্তম ধারণা করনি এবং বলনি যে, এটা তো নির্জলা
অপবাদ?
24|13|তারা কেন এ ব্যাপারে চার জন সাক্ষী
উপস্থিত করেনি; অতঃপর যখন তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি, তখন তারাই আল্লাহর কাছে মিথ্যাবাদী।
24|14|যদি ইহকালে ও পরকালে তোমাদের প্রতি
আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকত, তবে তোমরা যা চর্চা করছিলে, তজ্জন্যে তোমাদেরকে গুরুতর
আযাব স্পর্শ করত।
24|15|যখন তোমরা একে মুখে মুখে ছড়াচ্ছিলে
এবং মুখে এমন বিষয় উচ্চারণ করছিলে, যার কোন জ্ঞান তোমাদের ছিল না। তোমরা একে তুচ্ছ
মনে করছিলে, অথচ এটা আল্লাহর কাছে গুরুতর ব্যাপার ছিল।
24|16|তোমরা যখন এ কথা শুনলে তখন কেন
বললে না যে, এ বিষয়ে কথা বলা আমাদের উচিত নয়। আল্লাহ তো পবিত্র, মহান। এটা তো এক
গুরুতর অপবাদ।
24|17|আল্লাহ তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছেন,
তোমরা যদি ঈমানদার হও, তবে তখনও পুনরায় এ ধরণের আচরণের পুনরাবৃত্তি করো না।
24|18|আল্লাহ তোমাদের জন্যে কাজের কথা
স্পষ্ট করে বর্ণনা করেন। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
24|19|যারা পছন্দ করে যে, ঈমানদারদের
মধ্যে ব্যভিচার প্রসার লাভ করুক, তাদের জন্যে ইহাকাল ও পরকালে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি
রয়েছে। আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না।
24|20|যদি তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ
ও দয়া না থাকত এবং আল্লাহ দয়ালু, মেহেরবান না হতেন, তবে কত কিছুই হয়ে যেত।
24|21|হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে। যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন। আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন।
অপবাদ রটনাকারী সাক্ষী উপস্থিত না
করতে পারলে শাস্তি
24|৪কোন পূতচরিত্রা নারীর বিরুদ্ধে কেউ (ব্যভিচারের) অপবাদ দিয়ে যদি চার জন সাক্ষী উপস্থিত করতে ব্যর্থ হয়, তবে অপবাদ রটনাকারীকে শাস্তি হিসেবে ৮০ বেত মারবে। আর কোনদিন তার সাক্ষ্য গ্রহণ করবে না। এরা সত্যত্যাগী।’ (সূরা নূর ৪)
স্ত্রীকে অপবাদ দিলে তার বিচার
24|6|এবং যারা তাদের স্ত্রীদের প্রতি
অপবাদ আরোপ করে এবং তারা নিজেরা ছাড়া তাদের কোন সাক্ষী নেই, এরূপ ব্যক্তির সাক্ষ্য
এভাবে হবে যে, সে আল্লাহর কসম খেয়ে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, সে অবশ্যই সত্যবাদী।
24|7|এবং পঞ্চমবার বলবে যে, যদি সে মিথ্যাবাদী
হয় তবে তার উপর আল্লাহর লানত।
24|8|এবং স্ত্রীর শাস্তি রহিত হয়ে যাবে
যদি সে আল্লাহর কসম খেয়ে চার বার সাক্ষ্য দেয় যে, তার স্বামী অবশ্যই মিথ্যাবাদী;
24|9|এবং পঞ্চমবার বলে যে, যদি তার স্বামী
সত্যবাদী হয় তবে তার ওপর আল্লাহর গযব নেমে আসবে।
24|10|তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকলে এবং আল্লাহ তওবা কবুল কারী, প্রজ্ঞাময় না হলে কত কিছুই যে হয়ে যেত।
মিথ্য অপবাদ রটনাকরা মুনাফেকদের কাজ
33|60|মুনাফিকরা এবং যাদের অন্তরে রোগ
আছে এবং মদীনায় গুজব রটনাকারীরা যদি বিরত না হয়, তবে আমি অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আপনাকে
উত্তেজিত করব। অতঃপর এই শহরে আপনার প্রতিবেশী অল্পই থাকবে।
33|61|অভিশপ্ত অবস্থায় তাদেরকে যেখানেই
পাওয়া যাবে, ধরা হবে এবং প্রাণে বধ করা হবে।
33|62|যারা পূর্বে অতীত হয়ে গেছে, তাদের
ব্যাপারে এটাই ছিল আল্লাহর রীতি। আপনি আল্লাহর রীতিতে কখনও পরিবর্তন পাবেন না।
কাফেরেরা মরিয়ম আ: কে অপবাদ দিয়েছিল
4|155|অতএব, তারা যে শাস্তিপ্রাপ্ত হয়েছিল,
তা ছিল তাদেরই অঙ্গীকার ভঙ্গর জন্য এবং অন্যায়ভাবে রসূলগণকে হত্যা করার কারণে এবং তাদের
এই উক্তির দরুন যে, আমাদের হৃদয় আচ্ছন্ন। অবশ্য তা নয়, বরং কুফরীর কারণে স্বয়ং আল্লাহ
তাদের অন্তরের উপর মোহর এঁটে দিয়েছেন। ফলে এরা ঈমান আনে না কিন্তু অতি অল্পসংখ্যক।
4|156|আর তাদের কুফরী এবং মরিয়মের প্রতি
মহা অপবাদ আরোপ করার কারণে।
মুমিনদের অন্যতম গুন তারা মিথ্যা অপবাদ
রটাবে না
60|12|হে নবী, ঈমানদার নারীরা যখন আপনার
কাছে এসে আনুগত্যের শপথ করে যে, তারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না, চুরি করবে না,
ব্যভিচার করবে না, তাদের সন্তানদেরকে হত্যা করবে না, জারজ সন্তানকে স্বামীর ঔরস থেকে
আপন গর্ভজাত সন্তান বলে মিথ্যা দাবী করবে না এবং ভাল কাজে আপনার অবাধ্যতা করবে না,
তখন তাদের আনুগত্য গ্রহণ করুন এবং তাদের জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল অত্যন্ত দয়ালু।
24|26|অপবাদ যাদের কলঙ্কিত করতে পারে না :
‘চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষের যোগ্য আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীর যোগ্য।
চরিত্রবতী নারী চরিত্রবান পুরুষের যোগ্য আর চরিত্রবান পুরুষ চরিত্রবতী নারীর যোগ্য।
কোন মিথ্যা অপবাদই চরিত্রবানদের কলঙ্কিত করতে পারে না। এদের জন্যে রয়েছে ক্ষমা ও সম্মানজনক
জীবনোপকরণ।’ (সূরা নূর ২৬)
মিথ্য অপবাদ দিয়ে কারো সম্পদ গ্রাস
না করা
‘আর যদি তোমরা এক স্ত্রীর বদলে অন্য স্ত্রী
গ্রহণের সিদ্ধান্ত নাও এবং প্রথম স্ত্রীকে প্রচুর অর্থবিত্ত দিয়ে থাকো, তবে তা থেকে
কিছুই ফিরিয়ে নেবে না। তোমরা কি মিথ্যা অপবাদ বা জুলমের মাধ্যমে তা ফেরত নেবে?’ (সূরা
নিসা ২০)
10|21|‘দুঃখকষ্টের পর যখনই সত্য অস্বীকারকারীদের
কিছুটা অনুগ্রহ আস্বাদনের সুযোগ দেয়া হয়, তখনই ওরা আমার বাণীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত অপপ্রচারে
লিপ্ত হয়। হে নবী! ওদের বলো, আল্লাহ পরিকল্পিত কৌশল অবলম্বনে (তোমাদের চেয়ে) অনেক অগ্রগামী।
(নিশ্চিত থাকো) তোমাদের চক্রান্ত ও অপপ্রচারের পূর্ণ বিবরণ ফেরেশতারা রেকর্ড করছে।’
(সূরা ইউনুস ২১)
রসূলগণকে প্রেরণ করা হয়েছে যাতে আল্লাহকে
অপবাদ আরোপ না করে
4|165|সুসংবাদদাতা ও ভীতি-প্রদর্শনকারী
রসূলগণকে প্রেরণ করেছি, যাতে রসূলগণের পরে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করার মত কোন
অবকাশ মানুষের জন্য না থাকে। আল্লাহ প্রবল পরাক্রমশীল, প্রাজ্ঞ।
আল্লাহ সকল অপবাদ থেকে পবিত্র
আল্লাহ কোন সন্তান গ্রহণ করেননি। তাঁর
কোন শরিক নেই। যদি শরিক থাকত তবে প্রত্যেক শরিক উপাস্য নিজ নিজ সৃষ্টি নিয়ে আলাদা হয়ে
যেত এবং একে অন্যের ওপর প্রাধান্য বিস্তারের লড়াইয়ে নেমে যেত (আর সৃষ্টির বারোটা বাজত)।
ওদের অপবাদ থেকে আল্লাহ পবিত্র, মহান!’ (সূরা মুমিনুন ৯১)
4|48|নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন
না, যে লোক তাঁর সাথে শরীক করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য
তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন অপবাদ আরোপ
করল।
4|50|লক্ষ্য কর, কেমন করে তারা আল্লাহর
প্রতি মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, অথচ এই প্রকাশ্য পাপই যথেষ্ট।
4|112|যে ব্যক্তি ভূল কিংবা গোনাহ করে,
অতঃপর কোন নিরপরাধের উপর অপবাদ আরোপ করে সে নিজের মাথায় বহন করে জঘন্য মিথ্যা ও প্রকাশ্য
গোনাহ।
5|103|আল্লাহ ‘বহিরা’ ‘সায়েবা’ ওসীলা’
এবং ‘হামী’ কে শরীয়তসিদ্ধ করেননি। কিন্তু যারা কাফের, তারা আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ
আরোপ করে। তাদের অধিকাংশেরই বিবেক বুদ্ধি নেই।
6|21|আর যে, আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ
করে অথবা তাঁর নিদর্শনাবলীকে মিথ্যা বলে, তার চাইতে বড় জালেম কে? নিশ্চয় জালেমরা সফলকাম
হবে না।
7|89|আমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদকারী
হয়ে যাব যদি আমরা তোমাদের ধর্মে প্রত্যাবর্তন করি, অথচ তিনি আমাদেরকে এ থেকে মুক্তি
দিয়েছেন। আমাদের কাজ নয় এ ধর্মে প্রত্যাবর্তন করা, কিন্তু আমাদের প্রতি পালক আল্লাহ
যদি চান। আমাদের প্রতিপালক প্রত্যেক বস্তুকে স্বীয় জ্ঞান দ্বারা বেষ্টন করে আছেন। আল্লাহর
প্রতিই আমরা ভরসা করেছি। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের ও আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ফয়সালা
করে ছিল যথার্থ ফয়সালা। আপনিই শ্রেষ্টতম ফসলা ফয়সালাকারী।
7|152|অবশ্য যারা গোবৎসকে উপাস্য বানিয়ে
নিয়েছে, তাদের উপর তাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে পার্থিব এ জীবনেই গযব ও লাঞ্জনা এসে
পড়বে। এমনি আমি অপবাদ আরোপকারীদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি।
10|17|অতঃপর তার চেয়ে বড় জালেম, কে হবে,
যে আল্লাহর প্রতি অপবাদ আরোপ করেছে কিংবা তাঁর আয়াতসমূহকে মিথ্যা বলে অভিহিত করছে?
কস্মিনকালেও পাপীদের কোন কল্যাণ হয় না।
10|59|বল, আচ্ছা নিজেই লক্ষ্য করে দেখ,
যা কিছু আল্লাহ তোমাদের জন্য রিযিক হিসাবে অবতীর্ণ করেছেন, তোমরা সেগুলোর মধ্য থেকে
কোনটাকে হারাম আর কোনটাকে হালাল সাব্যস্ত করেছ? বল, তোমাদের কি আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন,
নাকি আল্লাহর উপর অপবাদ আরোপ করছ?
10|60|আর আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ
আরোপকারীদের কি ধারণা কেয়ামত সম্পর্কে? আল্লাহ তো মানুষের প্রতি অনুগ্রহই করেন, কিন্তু
অনেকেই কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে না।
16|56|তারা আমার দেয়া জীবনোপকরণ থেকে
তাদের জন্যে একটি অংশ নির্ধারিত করে, যাদের কোন খবরই তারা রাখে না। আল্লাহর কসম, তোমরা
যে অপবাদ আরোপ করছ, সে সম্পর্কে অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে।
16|87|সেদিন তারা আল্লাহর সামনে আত্নসমর্পন
করবে এবং তারা যে মিথ্যা অপবাদ দিত তা বিস্মৃত হবে।
16|116|তোমাদের মুখ থেকে সাধারনতঃ যেসব মিথ্যা বের হয়ে আসে তেমনি করে তোমরা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে বল না যে, এটা হালাল এবং ওটা হারাম। নিশ্চয় যারা আল্লাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা আরোপ করে, তাদের মঙ্গল হবে না।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন